করোনা ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের
প্রকাশিত : ০৯:১০, ৪ জানুয়ারি ২০২১
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’ করোনা ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির সরকার। এর ফলে দরিদ্র দেশগুলোকে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে।
রোববার (৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়াল্লা বলেন, ভারতীয়রা যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় তার জন্য আগামী কয়েক মাস ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত সরকার।
তিনি বলেন, করোনা ঝুঁকিতে থাকা ভারতের জনগণের জন্য ডোজ নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল দেশটি।
জানা গেছে, করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের ৩০ কোটি জনগণের মধ্যে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী পুলিশসহ সামনের সারির যোদ্ধারা।
এদিকে, গত ৫ নভেম্বর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনার টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে বলা আছে, ভারত ও বাংলাদেশের বাজারে একই সময়ে টিকা পাওয়া যাবে। সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেলে তখন তা বাংলাদেশেও আসবে। চুক্তি অনুসারে সেরাম ইনস্টিটিউটের কারখানায় তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। এই টিকা দেড় কোটি মানুষকে দেওয়া সম্ভব হবে।
কিন্তু, সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন রফতানিতে ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ফলে এই টিকা আপাতত বাংলাদেশে আসছে না বলে মনে করছেন অনেকে।
এসএ/