জার্মানিতে আজও সহস্রাধিক মৃত্যু
প্রকাশিত : ১০:২২, ১৫ জানুয়ারি ২০২১
ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র জার্মানিতে থামছে না করোনার তাণ্ডব। আগের দিন রেকর্ড মৃত্যুর পর আজও সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে করে ভয়াবহ সংকটাবস্থায় পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি। আক্রান্ত বেড়ে ২০ লাখ অতিক্রম করেছে। তবে পিছিয়ে আছে সুস্থতা।
জার্মানির রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৯৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩ হাজার ৯৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৮৮ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে ভুগে মৃত্যুর মিছিল বেড়ে ৪৫ হাজার ৪৯২ জনে ঠেকেছে।
অন্যদিকে, ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তার সুফল তেমন একটা মিলেনি। তবে স্বাভাবিক চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত বেঁচে ফিরেছেন ১৬ লাখ ২০ হাজার রোগী প্রায়। এর মধ্যে গত একদিনে সাড়ে ২৩ হাজার রোগী সুস্থতা লাভ করেছেন।
দেশটিতে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে। তারপরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা পরিস্থিতি। এমতবস্থায় ভ্রমণে কঠোর বিধি আরোপ করেছেন জার্মান চ্যাঞ্জেলর।
গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজারের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করে জার্মানি। ১৬টি রাজ্যের ২৭টি কেন্দ্র থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিকে নানা পদক্ষেপের পরও করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করায় ভ্রমণের উপর কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে দেশটি।
এমন কঠোর বিধির বার্তা মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিকদের কাছে পৌঁছানো হবে। চলমান লকডাউন কার্যকর থাকবে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত। অবস্থার উন্নতি না হলে তা আর বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন চ্যান্সেলর।
অন্যদিকে আছে করোনার নতুন প্রজাতির বিস্তার। যা রীতিমতো শঙ্কায় ফেলছে দেশটিকে। সম্প্রতি জার্মানির ফ্রান্কফুর্টে এক নারীর শরীরে নতুন ধরনের এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এতে করে উদ্বেগ আরও বাড়ছে।
শুধু জার্মানি নয়, ক্রিসমাস উৎসবের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে একাকার ছিল স্বাস্থ্যবিধি। আর এতে করে সংক্রমণ আরও দ্রুত বিস্তারের সুযোগ পেয়েছে।
এআই/এসএ/