ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ভারতে টিকা নিয়ে ৪৪৭ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৮, ১৮ জানুয়ারি ২০২১

আশা-আশঙ্কার দোলাচল নিয়েই গত শনিবার শুরু হয়েছে ভারতে করোনা টিকাদান কর্মসূচি। যা রোববার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেয়া হয়েছে। তবে কিছুটা বিপত্তি ঘটেছে। যা ভয় বাড়াচ্ছে দেশটির নাগরিকদের মাঝে। টিকা নেয়ার পর প্রায় সাড়ে চারশ’ মানুষের শরীরে দেখা দিয়েছে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। খবর আনন্দবাজারের। 

তবে তাদের কারও অবস্থাই গুরুতর নয় বলেও জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে দিল্লিতে টিকা নিয়ে একজন সামান্য গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

রোববার সন্ধ্যার দিকে সাংবাদিকদের সাথে বৈঠকে বসে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিন ৫৫৩টি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে মোট ১৭ হাজারেরও প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাকে। এই নিয়ে টিকার ডোজ পেলেন প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার মানুষ। এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ, অরূণাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, কেরল, মণিপুর এবং তামিলনাড়ুতে শনিবার টিকার ডোজ দেয়া হয়েছে। 

তবে দু’দিনে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৪৭ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিার রিপোর্ট সরকারিভাবে নথিবদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তার মধ্যে ৫১ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে দিল্লিতে। তবে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী বছর বাইশের এক যুবককে সামান্য গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টিকা নেওয়ার পর কোনও রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তার মোকাবিলা কিভাবে করা হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে যে সব উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে টিকা নেওয়ার জায়গায় সামান্য ফুলে যাওয়া, সামান্য ঘুম ঘুম ভাব অথবা অ্যালার্জির প্রবণতা। 

তবে সামান্য কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। তাদের ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মন্ত্রণালয়। ৪৪৭ জনের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যেও আবার দু’জনকে দিল্লির এইমস ও রেলওয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যজন এইমস ঋষিকেশ হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। 

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা ‘কোভিশিল্ড’ ভারতে উৎপাদন করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারতীয় সংস্থা তৈরি করেছে ‘কোভ্যাক্সিন’। এই দুই টিকাকেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারত। 
এআই/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি