ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে নতুন ৮৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৮৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। এ সময় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ১ হাজার ৯২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৮৭ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭২ জন এবং সাত উপজেলার ১৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারী ও সীতাকু-ে ৪ জন করে, রাঙ্গুনিয়া ও আনোয়ারায় ২ জন করে এবং বাঁশখালী, পটিয়া ও চন্দনাইশে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৪ হাজার ২৭২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ৮৩৬ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৪৩৬ জন।

গতকাল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩৭১ জনই রয়েছে। এতে শহরের ২৭০ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৬ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৪১ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৪ হাজার ৩৬১ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে ২৭ হাজার ২৮০ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৬ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৯২৯ জন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ দিন ধরে চট্টগ্রামে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে রয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি এ মাসে একবারই শতক পেরিয়ে যায়। এদিনের পর গতকাল শনাক্তের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। এ সংখ্যা আশি থেকে ওপরে উঠেছিল আরো তিন দিন। ১৬ ফেব্রুয়ারি ৮২ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ সময় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ৭ ফেব্রুয়ারি ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হন। সংক্রমণের হার ছিল ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২ ফেব্রুয়ারি ৮০ জনের দেহে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। তবে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। করোনাকালের সর্বনি¤েœর রেকর্ডটিও এ মাসে (৬ ফেব্রুয়ারি)। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৮৩২ জনের নমুনায় ১২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৩৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৯৪টি নমুনার ৫টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫০ জনের মধ্যে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ১০টি নমুনা পরীক্ষা হলে ৬টির রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া যায়।

নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৮ জনের নমুনায় ৭ জন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১১ নমুনায় ১ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। এদিন চট্টগ্রামের ১৬২টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, চমেকে ৫ দশমিক ৭৭, সিভাসু’তে ৫ দশমিক ৩২, চবি’তে ৬ শতাংশ, আরটিআরএল-এ ৬০ শতাংশ, শেভরনে ৪ দশমিক ৬১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৮ দশমিক ৪২, মা ও শিশু হাসপাতালে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়।
সূত্র : বাসস
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি