ব্রাজিলে আজও রেকর্ড মৃত্যু
প্রকাশিত : ১০:২৪, ১ এপ্রিল ২০২১
করোনার চূড়ান্ত ভয়াবহতা দেখছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। প্রতিদিনের রেকর্ড মৃত্যুতে দিশেহারা দেশটি। আগের দিনের ন্যায় গত একদিনেও সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এদিন প্রায় চার হাজার মানুষের প্রাণ ঝরেছে ভাইরাসটিতে। একই সাথে প্রায় লাখো মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আশার কথা হলো, বেড়েছে সুস্থতাও।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ হাজার ২০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ২৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণহানির তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯৫০ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ৮৮৬ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে, এখন পর্যন্ত সেখানে করোনামুক্ত হয়েছেন এক কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার রোগী। এর মধ্যে গত একদিনে সুস্থতা লাভ করেছেন ৯৫ হাজার ৪৫৪ জন।
গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সাও পাওলো শহরে ৬১ বছর বয়সী ইতালি ফেরত এক জনের শরীরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হতে থাকে। যেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
তবে শুধু ব্রাজিলই নয়, করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বের তুলনায় ভাইরাসটির দাপট অনেকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে সংকটাবস্থার মধ্যদিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। এমনকি করোনার উত্তাপ ছাড়িয়েছে দেশটির রাজনীতিতেও। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বে দেশটির তিন বাহিনীর প্রধান পদত্যাগ করেছেন। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ব্রাজিল ভাইরাসটির প্রধানকেন্দ্রে পরিণত হয়। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে দ্রুত বিস্তার লাভ করায় কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোর প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত ২৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এর মধ্যে কলম্বিয়ায় করোনাক্রান্ত রোগী ২৪ লাখ ৬ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ হাজার ৪২২ জনের।
আর্জেন্টিনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২৩ লাখ ৪৯ হাজারের কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৫৮ জন মানুষের।
পেরুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৯ হাজার। যেখানে মৃতের সংখ্যা ৫২ হাজার ৮ জনে ঠেকেছে।
এছাড়া চিলিতে সংক্রমিত ৯ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি। এখন পর্যন্ত সেখানে ২৩ হাজার ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এআই/এসএ/