ইন্দোনেশিয়ায় একদিনে মৃত্যু ১০০৭
প্রকাশিত : ১০:৫৫, ১২ জুলাই ২০২১
ইন্দোনেশিয়ার একটি চিত্র
ভারতের পর এশিয়ার মুসলিম প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত দুইদিনে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৩৩ জনের। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই প্রাণ ঝরেছে ১ হাজার ৭ জনের। এসময়ে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩৬ হাজার ১৯৭ জন। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ এমন তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, ইন্দোনেশীয় সরকারি হিসেব মতে, এ নিয়ে প্রায় ২৭ কোটি অধ্যুষিত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ২৭ হাজার ২০৩ জনে। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ হাজার ৪৬৪ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৪ জন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩২ হাজার ৬১৫ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ইন্দোনেশিয়ার ১৩ হাজার ৪৬৬টি দ্বীপের সবগুলোতেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেশটির বৃহত্তম দ্বীপ জাভা, প্রধান পর্যটন দ্বীপ বালি, পাপুয়া এবং সুমাত্রার।
এর আগে ইন্দোনেশিয়ায় এত অল্প সময়ে এত বিপুলসংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ইতোমধ্যেই দেশটি ৪৩টি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে সেখানে চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার অর্থনমন্ত্রী এয়ারলাঙ্গা হারতার্তো বলেন, জাভায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেশের অন্যান্য এলাকায় যেন এই অবস্থা দেখা না দেয় সেজন্যই উপদ্রুত এলাকাগুলোকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
এই এলাকাগুলোর অফিস-আদালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মোট লোকবলের ২৫ শতাংশকে দপ্তরে কাজের অনুমতি দেয়া হয়েছে। দোকান-পাট, বাজার ও রেস্তোঁরা খোলা রাখা যাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এদিকে রোগী বাড়ার কারণে ভেঙে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা খাত। জাভা, বালি, পাপুয়াসহ বিভিন্ন দ্বীপের অধিকাংশ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি করার জায়গা নেই। তাই এখানকার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হতে আসা অনেক গুরুতর অসুস্থ রোগীকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে করোনা আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৬৯৪ জনের।
যা নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর মোট সংখ্যা ১৮ কোটি ৭৬ লাখ ৪২ হাজার ৭৪০। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ২৮৯ জনের। এ পর্যন্ত ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫৬ জন সুস্থ হলেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখনও ১ কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৫ জন।
এনএস//