অক্টোবর থেকে টিকা রপ্তানির ঘোষণা ভারতের
প্রকাশিত : ২১:৫৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২২:০৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভারত আবার শুরু করতে যাচ্ছে টিকা রপ্তানি। ছয় মাস বন্ধ থাকার পর অক্টোবর থেকেই টিকা রপ্তানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মন্দাভিয়া। সোমবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এনডিটিভি জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার ঠিক আগের দিন টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তোলার এ ঘোষণা এল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মোদীর আলোচনায় টিকা প্রসঙ্গও উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মনসুখ মন্দাভিয়া বলেন, ভারত সরকার উদ্বৃত্ত টিকা থেকে রপ্তানির পাশাপাশি আগের মত অনুদানও দেবে। আর এক্ষেত্রে প্রতিবেশীরাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। ভারতে এখন দৈনিক টিকা উৎপাদনের পরিমাণ এপ্রিলের দ্বিগুণেরও বেশি। আগামী মাসে তা চারগুণ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ভারত এ বছরের এপ্রিলে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিপাকে পড়ে যায়। দেশটির টিকা সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় পুরো বিশ্বেই এর প্রভাব পড়ে। এর মাঝে ভারত সরকার তাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। দেশটি ৯৪ কোটি ৪০ লাখ প্রাপ্তবয়স্কের সবাইকে করোনাভাইরাসের টিকা দেবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকা উৎপাদন করে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া। এ কোম্পানি থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভিশিল্ড’ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে।
পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পেয়েছে বাংলাদেশ।
মার্চে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারী চরম আকার ধারণ করলে সেদেশের সরকার এপ্রিলে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এদিকে পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
এসি