টিকাদানের কৌশল ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
প্রকাশিত : ১৩:৫২, ৮ অক্টোবর ২০২১
কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিটি দেশে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৭০ শতাংশ লোককে ভ্যাকসিন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। নিম্ন আয়ের দেশ, বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে ভ্যাকসিন সরবরাহের অগ্রাধিকারের মাধ্যমে এ টিকা কার্যক্রমন চলবে বলে জানায় সংস্থাটি।
“আজ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ বৈশ্বিক কভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের লক্ষ্য অর্জনের কৌশল করছে” উল্লেখ করে হু’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসিস এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, এই কৌশলের লক্ষ্য হচ্ছে চলতি বছরের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি ৭০ শতাংশ লোকের টিকাদান সম্পন্ন করা, এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।”
টেড্রোস বলেন, “এই লক্ষ্য অর্জনে কমপক্ষে ১১ বিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ প্রয়োজন হবে, এটি সরবরাহের সমস্যার পরিবর্তে এটি একটি বরাদ্দের সমস্যা।”
তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন উৎপাদন এখন প্রতি মাসে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডোজ, আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, যদি সেগুলো সমানভাবে বিতরণ করা হয় তাহলেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।”
হু জানায়, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৬.৪ বিলিয়নের বেশী ভ্যাকসিন ডোজ প্রদান করা হয়েছে এবং বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশের বেশী জনসংখ্যা কভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেয়েছে। যদিও নিম্ন আয়ের দেশগুলো ১ শতাংশের অর্ধেকের কম ভ্যাকসিন পেয়েছে। আফ্রিকায় ৫ শতাংশের কম লোকের ভ্যাকসিনের পুরো ডোজ সম্পন্ন হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে হু সব দেশের জন্য সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার ১০ শতাংশ লোকের টিকাদান সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, ৫৬টি দেশ এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। এ কারণে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্প্রতি নতুন কৌশল ঘোষণায় হু প্রধানকে উদ্বুদ্ধ করেন।
এসএ/