প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ৪০ শতাংশ মানুষ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:২০, ২৫ নভেম্বর ২০২১
দেশের ২৭ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ করোনা টিকা নিয়েছেন। আর প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ৪০ শতাংশ মানুষ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেউই ভ্যাকসিনের আওতার বাইরে থাকবেনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চতুর্থ ঢেউ যাতে না আসে সেজন্য আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বুস্টার ডোজ দেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করারও পরামর্শ তাদের।
করোনা মহামারী মোকাবেলায় শুরু থেকেই বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহ করে সরকার। ১৯ হাজার কোটি টাকায় কেনা হয়েছে ২১ কোটি ডোজ টিকা। আর কোভ্যাক্সের আওতায় উপহারের টিকার পরিমাণ আড়াই কোটিরও বেশি।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়া নয়টি টিকার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না আর সিনোফার্মের টিকায় চলছে টিকাদান কর্মসূচি। এরইমধ্যে দুই ডোজ টিকাই নিয়েছেন পৌনে চার কোটি। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন সাড়ে ৫ কোটির বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিনের আওতার বাইরে কেউ থাকে না। বাংলাদেশের টার্গেট পপুলেশনের সকলকেই দেয়া হবে। আমাদের টার্গেট পপুলেশন ১২-১৩ কোটি ছিল। তার মধ্যে ৪০ ভাগ ভ্যাকসিনেট হয়েছে। প্রায় ২৭ শতাংশের ডাবল ডোজও হয়ে গেছে। আগামীতে আরও ভ্যাকসিন আমরা দিব এবং এটা চলমান থাকবে।
এরইমধ্যে অবশ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে। দেশেও বুস্টার ডোজ দেয়ার বিষয়ে ভাবা উচিত বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইউজিসি অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, টিকার আপাতত দুটো ডোজ শেষ হোক। সবাই দুটি ডোজ পেয়ে যাক। হয়তো বুস্টার ডোজ দেয়া হবে, দুটি ডোজ দেয়ার পর বুস্টার ডোজের চিন্তা করা উচিত।
এদিকে রাশিয়ায় করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাড়ছে সংক্রমণ। তাই শীত মৌসুমে আরও সর্তক হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, “বিশেষ করে ইউরোপীয়ান দেশে শীতের প্রকোপ শুরু হয়ে গেছে, সেখানে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সুতরাং আমাদের তো সামনে শীত, তাই একটা ঝুঁকি তো আছেই, বাড়তেও পারেই। সেজন্যই বলছি, যেহেতু সংক্রমণের হার কম মৃত্যুর মিছিল কম, আমরা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছি। এগুলো মনে না করে সামনে যেহেতু শীত, আমরা যেন গাঁছাড়া ভাব বা ঢিলেঢালা ভাব না করি।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এ বছরের নভেম্বরেই সংক্রমণ হার সবচে কম।
এএইচ/