ডেল্টা ও ওমিক্রনের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
প্রকাশিত : ১১:০১, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের সংক্রমণে রোগীদের যে উপসর্গগুলো দেখা যায় ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা একেবারেই আলাদা। ডেল্টার ক্ষেত্রে যেমন বেশ জ্বর আসে, তেমনটা হয় না ওমিক্রনের ক্ষেত্রে। বরং সর্দি লাগলে আমাদের যে অবস্থা হয় তেমনটাই হয় ওমিক্রনের ক্ষেত্রে।
আবার ওমিক্রনে আক্রান্ত সবার উপসর্গগুলোও এক ধরনের হয় না। নানাজনের ক্ষেত্রে উপসর্গ বদলে যায়। কিন্তু ওমিক্রনের সব রোগীর ক্ষেত্রেই যে উপসর্গটি দেখা যায় তা হল— গলা ভেঙে যাওয়া। গলায় খুব ব্যথা। আর নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সহায়ক প্রতিষ্ঠান ‘ডিসকভারি হেল্থ’-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রায়ান নোয়াক।
দক্ষিণ আফ্রিকাতেই প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। তা ভয়াবহ রূপ নেয় দেশটিতে।
রায়ান বলেছেন, ‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনে আক্রান্ত বহু রোগী পরীক্ষা করে দেখেছি যে, ডেল্টা সংক্রমণের উপসর্গগুলোর চেয়ে ওমিক্রনের উপসর্গ আলাদা। শুধু তা-ই নয়। ওমিক্রনে সংক্রমিত বিভিন্ন ব্যক্তির উপসর্গ একে অন্যের চেয়ে আলাদা।
তবে ওমিক্রনে আক্রান্তদের সবার ক্ষেত্রেই যে উপসর্গ দেখা গেছে তাহলো- প্রাথমিকভাবে তাদের গলা ভেঙে যায়। গলায় খুব ব্যথা হয়। নাকও বন্ধ হয়ে যায়। সর্দিতে ঠিক এই অবস্থাই হয় আমাদের, বলেন রায়ান।
রায়ান আরও বলেন, ডেল্টা সংক্রমণের উপসর্গগুলো এদের থেকে অনেকটাই আলাদা। ডেল্টা সংক্রমণের ক্ষেত্রে রোগীর বেশ জ্বর আসে। বুকে খুব কফ জমে, ঘ্রাণশক্তি, স্বাদগ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়। অন্ত্রের নানা ধরনের সমস্যা হয়। এ সময়ে রোগী অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
এএইচ/