ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ২২৮ শতাংশ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩০, ১৯ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৭:৩৪, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি সারাদেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, দেশে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে ২২৮ শতাংশ। গত ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু বেড়েছে ১৮৫ শতাংশ। 

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত এক সপ্তাহে বাংলাদেশে ২৭ শতাংশের বেশি পরীক্ষা বেড়েছে। সাত দিনে ২ লাখ ৩ হাজার ১২২টি পরীক্ষা হয়েছে। রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৪০৫ জন। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সাত দিনে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ২২৮ শতাংশ রোগী বেড়েছে।

গত এক সপ্তাহে করোনায় সংক্রমিত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৭ জন বেশি। শনাক্ত, পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বেশিসংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে।

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাস শনাক্ত বাড়লেও হাসপাতালে করোনা রোগী বাড়েনি। তবে এতে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের। পাশের দেশেও ওমিক্রন বেশি ছড়াচ্ছে। সাধারণত কোনো নতুন ভেরিয়েন্ট (ধরন) এলে সেটি পুরোনো ধরনকে প্রতিস্থাপন করে। তবে এখন পর্যন্ত দেশে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে, তাতে করোনাভাইরাসের ডেলটার ধরনই বেশি ছড়াচ্ছে। গত বছর করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের তাণ্ডব দেখা গেছে। তাই অসতর্ক হওয়ার সুযোগ নেই।’

ঢাকা ও রাঙামাটির পর আরও ১০ জেলাকে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৩২ জেলা। আর এখন পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত ১৬ জেলা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার যে বিষয়টি বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বর্তমান যে করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনা, তার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। এটি একেবারেই প্রশাসনিক বিষয়। অধিদপ্তরের কর্মপন্থা ঠিক করার জন্য এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়। কোনো জেলাকে নির্দিষ্ট করা হয়নি। জেলায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের সংখ্যাকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে। এই পরিসংখ্যান কোনো সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে না।’

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি