ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

পিঠে ব্যথাও হতে পারে কোভিডের উপসর্গ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১০:৩৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, সর্দিকাশি, স্বাদ চলে যাওয়া, র‍্যাশ ওঠার মতো নানা উপসর্গ দেখা যায়। তবে সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেকেই জানিয়েছেন, তারা পিঠে ব্যথা, তলপেট, শিরদাঁড়া বা মাথা ব্যথায়ও ভুগছেন। 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের আবার কেবল মাথা ব্যথা ছাড়া আর কোনো উপসর্গ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার চারু দত্ত আরোরা। 

ভারতীয় এক গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, যদিও সকলে মনে করেন কোভিড ১৯ মূলত ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটায়, তবে করোনা আক্রান্ত অনেকের পিঠে ব্যথা লক্ষ্য করা গেছে। 

তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন এমন ৬৩ শতাংশ রোগীর পিঠে ব্যথা  ছিল।  সংক্রমণের সময় মাথা, পিঠের নিচের অংশ এবং পেশীতেই বেশি ব্যথা অনুভব করেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা। পেশীর ব্যথা মূলত হাঁটুর আশপাশে বেশি হতে দেখা গেছে।’’ 

তিনি আরও বলেন, ‘‘সংক্রমণের সময় মাথা, পিঠের নিচের অংশ এবং পেশীতেই বেশি ব্যথা অনুভব করেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা। পেশীর ব্যথা মূলত হাঁটুর আশপাশে বেশি হতে দেখা গেছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে সাইটোকাইনস নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। তা থেকেই মূলত প্রদাহ সৃষ্টি করে। মাথাব্যথা এবং তলপেটে ব্যথা ভাইরাসের প্রথম কয়েকটি লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি। একজন রোগী সংক্রামিত হওয়ার প্রথম ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে এটি অনুভব করে।’’

তিনি জানান, এটি লং কোভিড বলেও অভিহিত করা যেতে পারে। এই ব্যথা কোভিড পরবর্তী ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত চলতে পারে। যদি রোগীর ইমিউনিটি তুলনামূলকভাবে কম হয়, তাহলে এই ধরনের লক্ষণ দেখা যেতে পারে। 

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি