শনাক্ত বেড়ে ৭২, মৃত্যু ২
প্রকাশিত : ১৮:১৮, ৩০ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৮:২০, ৩০ মার্চ ২০২২
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। আগের দিন করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে দুইজন হয়েছে। এ ছাড়া একইসময়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। আগের দিন করোনাভাইরাসে রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ৬৯ জন, গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ৭২ জন।
বুধবার (৩০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ বিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, নতুন সংক্রমণের পাশাপাশি বেড়েছে শনাক্তের হারও। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৫ যা গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ।
নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ৮৭৯ ল্যাবের মাধ্যমে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৮৭৯টি ল্যাবের মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৬০টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৭টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৬৬২টি।
এদিন সারাদেশ থেকে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৮ হাজার ৫০টি। নতুন ও পুরনো নমুনা মিলে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৮ হাজার ৭৩টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত অ্যান্টিজেনসহ দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১ কোটি ৩৮ লাখ ১৪ হাজার ৬৩৭টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯১ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৬টি। আর বেসরকারি পর্যায়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৪৭ হাজার ১২১টি।
নতুন সংক্রমণ ও শনাক্তের হার
আগের দিন দেশে ৬৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট সংক্রমণ শনাক্ত হলো ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫০৪ জনের শরীরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।
সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে
আগের দিন দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৭৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৭৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মোট সুস্থ হলেন ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৪২০ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ। মৃতদের একজন রাজশাহী ও অপরজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা।
বয়সভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যা
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া দুইজনের মধ্যে একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর। আরেকজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে— এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণকারী সর্বোচ্চ ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের সংখ্যা ৯ হাজার চারজন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের। যা সংখ্যায় ৬ হাজার ৭৮৩ জন। শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী শিশু মারা গেছে ৮৮ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০০ বছর ঊর্ধ্ব মানুষ মারা গেছেন ৩৭ জন।
আরকে//