সংক্রমণ ঝুঁকি: সব বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারসহ ৬ পরামর্শ
প্রকাশিত : ১৬:৪২, ২৫ এপ্রিল ২০২২
আবারো বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এ অবস্থায় ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভ্যাকসিন নেয়া নয়, কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে দেশের সব বন্দরের প্রবেশ পথে স্ক্রিনিং জোরদার করাসহ ৬টি পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সুপারিশগুলোর কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৭তম সভায় এ ছয়টি সুপারিশ গৃহীত হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও পার্শ্ববর্তী দেশসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, যা উদ্বেগজনক। এখন থেকেই সতর্ক না হলে বাংলাদেশেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা জাতীয় কারিগরি কমিটির। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সুপারিশ করা হয়। সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোরও সুপারিশ করে কমিটি।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজার ও কেনাকাটা এবং ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের সময় মাস্ক পরা নিশ্চিতের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া তারাবির নামাজ ও ঈদ জামাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কমিটি।
এছাড়াও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় হাসপাতালসমূহকে সতর্ক করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালসমূহের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সভা আয়োজন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
একইসঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজন করে সবাইকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে থাকার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়াও জিনোম সিকোয়েন্সিং ও সার্ভেলিয়েন্স জোরদার করার সুপারিশ করেছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি।
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চীনে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। এরইমধ্যে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতেও নতুন করে হানা দিচ্ছে করোনা।
বাংলাদেশেও নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে এরইমধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সংক্রমণ মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
এনএস//