কোভিড: ৫ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলক টিকাদান ১১ আগস্ট
প্রকাশিত : ১৩:৪৪, ৭ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১৫:২১, ৭ আগস্ট ২০২২
কোভিড থেকে সুরক্ষায় প্রাপ্তবয়স্ক ও মাধ্যমিকের শিশুদের টিকাদানের পাশাপাশি এবার প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের তথা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এসব শিশুকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হবে।
রোববার (৭ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি জানান, ১১ আগস্ট পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কিছুদিন পর আগামী ২৬ আগস্ট পুরোদমে এসব শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ন্যায় এবারও শুরুতে রাজধানীর স্কুলগুলোতে টিকাদান শুরু হবে। যেসব এলাকায় কোভিড সংক্রমণ বেশি, সেসব এলাকায় আগে দেওয়া হবে। সেখানে ব্যবহার করা হবে ফাইজারের বিশেষ ধরনের টিকা। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে দেওয়া হবে এই টিকা। গত ১ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এসব কথা জানিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ছাড়াও সারা দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখের মতো। সেই অনুযায়ী চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টিকার চাহিদা পাঠায় সরকার। সে অনুযায়ী গত ৩০ জুলাই ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা পাঠায় ডব্লিউএইচও।
এর আগে গত মাসের শেষের দিকে এই টিকা কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু টিকা পেতে বিলম্ব হওয়ায় তা পেছাতে হয়। পাঁচ বছরের বেশি এসব শিশুর টিকার কর্ক কমলা রঙের, সিরিঞ্জও স্বাভাবিকের চেয়ে আলাদা বলে জানিয়েছেন টিকা বিতরণ কর্মসূচির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক।
দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে প্রায় দেড় বছর আগে টিকাদান শুরু করে সরকার। পরে সেটি কমিয়ে ৭০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এরই মধ্যে ১২ কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। পরিধি বাড়াতে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের পর এবার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এমএম/