শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু
প্রকাশিত : ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২২
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। রাজধানীর ২১ কেন্দ্রসহ সারাদেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ৫৫টি জোন ও ৪৬৫টি ওয়ার্ডে আগামী ১৪ দিন এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হবে। প্রথম রাউন্ডের দুই মাস পর দ্বিতীয় রাউন্ড (দ্বিতীয় ডোজ কার্যক্রম) হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়।
বুধবার (২৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কর্তৃক শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম কর্মপরিকল্পনায় এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিশ্বের অনেক দেশের ন্যায় বাংলাদেশ সরকার দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে ২৫ আগস্ট থেকে দেশের সকল ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
পরে পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা, পৌরসভার স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে এই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি করা টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের হাতে আছে। ইতোমধ্যেই কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে উক্ত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে।
এই কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী ১৪ দিনব্যাপী ১২টি সিটি করপোরেশন ৫৫টি জোন ও ৪৬৫টি ওয়ার্ড এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রতিদিন ১৮৬০টি টিকাদান টিম কাজ করবে। ২৫ আগস্ট ১২টি সিটি করপোরেশনের ১৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এর আগে, গত (২৭ জুন) রাজধানীতে এক আলোচনাসভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। টিকা নিতে শিশুদের জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করা লাগবে।” যাদের জন্ম নিবন্ধন নেই, তাদের দ্রুত নিবন্ধন করে নিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে। যে সব শিশুদের জন্ম সনদপত্র নেই, তাদের অভিভাবকগণ জন্ম সনদপত্র সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রেশন করবেন। বিদেশি পাসপোর্টধারী শিশুদের সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার পূর্বে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত ‘এক্সেল ছকে’ তথ্য প্রদান করতে হবে। কোভিড-১৯ টিকা রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদর্শন করে শিশুরা নিজ নিজ স্কুলে ও পরবর্তীতে কমিউনিটি পর্যায়ে নিকটস্থ কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবে।
এসএ/