চীনে বেসামাল কোভিড পরিস্থিতি
প্রকাশিত : ১১:১০, ৪ জানুয়ারি ২০২৩
চীনে করোনা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, সাংহাই শহরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ জানিয়ে দিয়েছে, চীন থেকে প্রবেশে কোভিড-নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে। এর পাল্টা হুশিয়ারিও দিয়েছে চীন। এদিকে, করোনা ছড়ানো বন্ধে কড়া সতর্কতায় রয়েছে ভারত।
জিরো কোভিড নীতি শিথিল করার পর চীনে বেসামালভাবে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। অভিযোগ আছে, করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু কম করে দেখানো হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটির চিকিৎসকদের দাবি, বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ের ৭০ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছরের মার্চ-এপ্রিলের তুলনায় এ হার ২০ থেকে ৩০ গুণ বেশি বলে দাবি করছেন তারা।
ভেতরে আর স্থান সংকুলান না হওয়ায় সাংহাইয়ের বিভিন্ন হাসপাতালের গেটের কাছে এবং গ্যারেজেও আশ্রয় নিচ্ছেন গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীরা।
রাজধানী বেইজিং, তিয়ানজিন, চংকুইং এবং গুয়াংঝৌসহ দেশটির প্রায় সব বড় শহরে করোনা সংক্রমণ বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে জানানো হয়েছে।
এ অবস্থায় চীনা যাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে একের পর এক দেশ। এবার এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে চীনা নাগরিকদের ঢুকতে হলে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে।
বিষয়টির সমালোচনা করেছে চীন। যেসব দেশ চীনা নাগরিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, ভবিষ্যতে তাদের পাল্টা ব্যবস্থার মুখে পড়তে হবে বলে হুমকি দিয়েছে দেশটি।
সম্প্রতি করোনার সবচেয়ে সংক্রামক ধরন ‘এক্সবিবি ১ দশমিক ৫’ শনাক্ত হয়েছে ভারতে। করোনার দ্রুত সংক্রমণশীল এ ধরনটি গুজরাটে এক ব্যক্তির দেহে মিলেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রেও ছড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভারত সরকার নিয়ম করেছে, চীন, সিঙ্গাপুর, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও জাপান থেকে আগতদের বাধ্যতামূলকভাবে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে।
এএইচ