‘বিদেশ থেকে ফিরলেই কোয়ারেন্টাইনে, উপেক্ষা করলে ব্যবস্থা’
প্রকাশিত : ১৬:৩৪, ১৪ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১০:৪৪, ১৬ মার্চ ২০২০
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে কেউ দেশে আসতে চাইলে তাকে বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। যদি কেউ কোয়ারেন্টাইন উপেক্ষা করে, তাহলে তাকে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে।
শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে মাত্র ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলো যাদের সবাই এখন সুস্থ। একজন ইতোমধ্যেই বাড়িতে চলে গেছে, অন্য দুইজনও আগামীকাল সুস্থ অবস্থায় বাড়ি চলে যাবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহুর্তে বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে আসা এতো বেশি সংখ্যক মানুষকে অরক্ষিত অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে দেশের কোটি কোটি মানুষকে আমরা ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। আজ ইটালি থেকে এসেছে ১৪২ জন, রাতে আসবে ৩০-৫০ জন, আগামীকাল আরও আসবে ৫০ জন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সময়ে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে লোকজনকে না আসার জন্য অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তারা যেভাবে দেশে আসতে শুরু করেছে এতে করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই আমরা তাদেরকে বাড়িতে যেতে দিতে পারি না। এজন্য এখন থেকে আক্রান্ত দেশের বিদেশ ফেরত সবাইকে কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারান্টাইনে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপর সরকারি উদ্যোগে তাদেরকে বাড়ি ফিরতে হবে।’
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি মি. ড. বার্ধন জাং রানা সহ অধিদপ্তরের অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই এগুলো যেন সুভল মূল্যে পাওয়া যায়। ওষুধ প্রশাসনের মাধ্যমে একটি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় তদারকি করছে। র্যাব-পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় জেল-জরিমানাও করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার অবধারিত কোনো বিষয় না। সাবান দিয়ে ধুলেও একই রকম বা তার চেয়ে বেশি কাজ হবে। ২০ সেকেন্ড ধুলে হাত পরিষ্কার হবে, আমরা নিরাপদে থাকতে পারবো।’
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এর আগে সকালে রাজধানীর শিশু হাসপাতালে হাম-রুবেলা টাকাদান কর্মসূচি-২০২০ এর শুভ উদ্বোধন করেন।