নতুন করে করোনাক্রান্ত দু’জনের পরিচয় জানালো আইইডিসিআর
প্রকাশিত : ২২:১৩, ১৪ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ২৩:২৯, ১৫ মার্চ ২০২০
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসে দেশে আরও দুজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
শনিবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, তারা আগেই দেশে এসেছেন। এদের একজন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
তিনি বলেন, নতুন করে আক্রান্ত এই দুজনের একজন ইতালি এবং অন্যজন জার্মানি থেকে দেশে এসেছেন। এদের মধ্যে একজনের লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দেয়ার পর তাকে আইসোলেশনে এনে রাখা হয়েছিল।
অবশ্য এর আগে এদিন দুপুরে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ‘দেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত কেউ নেই’ বলেই জানিয়েছিলেন আইইডিসিআর পরিচালক।
এদিকে, ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৩১টি দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এতে নেই কোনও চীনা নাগরিক। শুধু যে প্রাণহানি থেকে মুক্তি মিলেছে তা নয়, উহানসহ দেশটির অন্যান্য অঞ্চলে এই সময়ে নতুন করে কোনও ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। উল্টো সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন নতুন আরও প্রায় ৩ হাজার নাগরিক। যার সংখ্যা বেড়ে ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে।
ফলে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে মৃত্যুর মিছিল ভারি হলেও উন্নতির দিকে এশিয়ার সবচেয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দেশটি।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার পর মহামারি ঘোষণার করেছে। তারপরও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের নতুন করে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার সবেচেয় বড় ভুক্তভোগী ইরোপীয় রাষ্ট্র ইতালি।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে আজ শনিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, ‘বিশ্বের অন্তত ১১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে নতুন করে ৪২৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৩৭৩ জনের। বর্তমানে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১ লাখ প্রায় ৪১ হাজার মানুষ।
ভাইরাসটিতে মূলভূখন্ড চীনে অপরিবর্তীত রয়েছে মৃতের সংখ্যা। সেখানে শুক্রবার পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ১৭৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮১৩।
অপরদিকে, চীনের বাহিরে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আরও ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়। এরও আগের দিন ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটল। যা উৎপত্তিস্থল চীনের বাহিরে সর্বোচ্চ।
এনএস/