দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৪:৩৬, ২১ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১৫:২৫, ২১ মার্চ ২০২০
মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুজন মারা গেলেন। এছাড়া নতুন করে আরও চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৪ জনে।
শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট দুজনের মৃত্যু হল।
জাহিদ মালেক বলেন, এছাড়াও নতুন করে আরও চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে।
তিনি বলেন, আমরা এখন যুদ্ধাবস্থায় রয়েছি। যুদ্ধাবস্থায় থাকলে সব সিস্টেম বজায় রেখে চলা যায় না। আমাদের সবার নিরাপত্তা দরকার আছে, কিন্তু দেশের তাগিদে আমাদের কাজ করতে হয়।
প্রশ্ন করার আগে ভেবে প্রশ্ন করার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন ১০-১৫ হাজার লোক বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ঢুকতে। তাদের আমরা কোথায় রাখবো?
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে কোয়ারেন্টিন হচ্ছে। এ দুটি হাসপাতাল যেকোনো সময় গ্রহণ করে উচ্চতর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, চীন থেকে কিছু চিকিৎসক ও নার্স আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নতুন ৪০০ আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সারা দেশে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ১৪ হাজার জন। আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫০ জন।
মন্ত্রী বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য উত্তরার থার্ড ফেজে দিয়া বাড়ী এবং তাবলীগ জামায়াত যেখানে হয় সেই জায়গাটি আমরা নিয়েছি এবং এই দুইটি স্থান ম্যানেজ করার জন্য স্বশস্ত্র বাহিনীকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা এই দুইটি স্থানকে ম্যানেজ করবেন যদি সেই ধরণের কোয়ারেন্টিন করতে হয়।
জাহিদ মালিক বলেন, স্বাস্থ্যসেবা যারা দিয়ে থাকেন সেই ডাক্তার, নার্স এবং সেবাকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
করোনার বিস্তাররোধে এরই মধ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর। এমনকি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলাকে লকডাউনও ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। এতে এতে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১১ হাজার ৪১৭ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯১ হাজার ৯৫৪ জন।