করোনায় চীন-ইতালিকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে
প্রকাশিত : ১০:৩৬, ২৭ মার্চ ২০২০
করোনা জ্বরে কাঁদছে গোটা বিশ্ব। মহামারি আকার ধারণ করা ভাইরাসটিতে আক্রান্তের দিক থেকে এবার চীন ও ইতালিকে অতিক্রম করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে, গোটা আমেরিকায় ভয়াবহতার আশঙ্কায় কাঁদছে লাখো মানুষ।
দেশটিতে বুধবার পর্যন্ত উৎপত্তিস্থল চীন ও মৃত্যুনগরী ইতালির পেছনে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হওয়ায় তাদের পেছনে ফেলেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দেশটিতে একদিন আরও ১৭ হাজার ২৩২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এতে ট্রাম্পের দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার ৪৩৫ জনে।
অপরদিকে, কার্যকরি কোনো প্রতিষেধক না থাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ইরাসটিতে আক্রান্ত ২৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ২৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। সেখানে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
সে কারণেই নিউ ইয়র্কে কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রশাসন। নিউ ইয়র্ক মেট্রো অঞ্চল থেকে বের হয়ে অন্য কোন অঙ্গরাজ্যে গেলে প্রত্যেককে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
করোনার প্রকোপ ঠেকাতে নিরলসভাবে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। গত সপ্তাহে পরীক্ষার পর করোনা ধরা পড়ে মিসোরি রাজ্যের সেন্ট লুইসের সেন্ট ম্যারি হসপিটালের নার্স জুডি উইলসন গ্রিফফিনের। পরে তিনি মারা যান।
অন্যদিকে, চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতালে কর্মরত অন্যরা বেশ কিছুদিন থেকেই ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) অভাবের কথা বলে আসছেন। সুরক্ষা স্যুট, মাস্ক, গ্লোভস, হেড কভার প্রয়োজনের তুলনায় পাচ্ছেন না তারা। সে কারণে অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে, করোনা সঙ্কটে মার্কিন অর্থনীতি ও কোটি কোটি মানুষের জন্য দুই ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজের একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে হোয়াইট হাউস এবং সিনেট।
করোনার কারণে দেশটির সঙ্কোচনশীল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। মহামারির কবলে স্বাস্থ্য সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মার্কিন সাধারণ জনগণকে সহায়তা করতে এই অর্থ বিশেষ সহায়ক হবে।
এছাড়া করোনায় বিপর্যস্ত এলাকার জনগণকে এই অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। হাসপাতালের জন্য নেওয়া মার্শাল পরিকল্পনাতেই প্রণোদনার ১৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি গত মঙ্গলবারই দুইশ দেশে বিস্তার লাভ করেছে। যেখানে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৪ হাজার ৭৩ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৮৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষ।
এআই/