ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

করোনায় ভারতে আক্রান্ত সহস্রাধিক, মৃত বেড়ে ২৭

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৮, ২৯ মার্চ ২০২০

করোনায় ভারতে আক্রান্ত সহস্রাধিক

করোনায় ভারতে আক্রান্ত সহস্রাধিক

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপ নেয়া করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) ভয়াল থাবা এসে পড়েছে ভারতেও। প্রতিবেশি দেশটিতে ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে।

আনন্দবাজার ডিজিটালের খবর অনুযায়ী, রোববার (২৯ মার্চ) রাত পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,০২৪ জনে। এদিন দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হন ১০৩ জন।

এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন মোট ১৮৬ জন। এ দিন নতুন করে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫ জন। মহারাষ্ট্রের পরই রয়েছে কেরালা। সেখানে ১৮২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন। 

তৃতীয় স্থানে থাকলেও, কর্নাটকে এখনও সংখ্যাটা অবশ্য দুই অঙ্কেই আটকে রয়েছে। এ দিন নতুন করে ১৫ জন আক্রান্ত হওয়ায় সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৭৬।

অন্য দিকে, করোনায় মৃত্যুর নিরিখেও সারা দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্র প্রথম। এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার পরেই রয়েছে গুজরাট এবং কর্নাটক। ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যটিতে। আর কর্নাটকে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইও জারি রয়েছে। গোটা ভারতে ইতিমধ্যে মোট ৯৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। 

পশ্চিমবঙ্গেও আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। শনিবারই এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাটা ১৫ থেকে বেড়ে ১৮ হয়ে গিয়েছিল। কলকাতার নয়াবাদের বাসিন্দা এক বৃদ্ধের দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছিল। পঞ্চসায়রের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধ সপরিবার এগরায় এক আত্মীয়ের ছেলের বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই আত্মীয়ের স্ত্রী (৫৬) এবং পিসির (৭৬) দেহে ওই ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। নাইসেড সূত্রে খবর, তৃতীয় আক্রান্ত উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা এক মধ্যবয়সি মহিলা।

এর আগে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় দিল্লির তিহাড় জেল থেকে ৩৫৬ জন বন্দিকে ৪৫ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনে এবং ৬৩ জন বন্দিকে আট সপ্তাহের প্যারোলে ছেড়ে দেয়া হয়। উত্তরপ্রদেশ সরকারও আট সপ্তাহের প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে ১১ হাজার বন্দিকে।

অন্যদিকে, রোগীদের পরিবারের লোকের তাণ্ডবে শনিবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কাশ্মীরের শ্রীনগরের সরকারি হাসপাতাল। সেই সুযোগে হাসপাতাল থেকে লাপাত্তা হয়ে যান আইসোলেশনে থাকা ২৬ রোগী।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে কমপক্ষে ৩ কোটি ৮০ লাখ মাস্ক এবং ৬২ লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রয়োজন বলে জানা গেছে। দেশটি মাস্কসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জামের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে।

এছাড়া ঘোষিত ২১ দিনের লকডাউনের মধ্যেই রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি