ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের পরীক্ষা সম্পন্ন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২৫, ৮ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ১৭:৩৪, ৮ এপ্রিল ২০২০

করোনার ভ্যাকসিন টেস্ট

করোনার ভ্যাকসিন টেস্ট

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বজুড়ে মহামারী রূপ নেয়া প্রাণঘাতী করোনার তাণ্ডবের মধ্যে এর প্রতিষেধক ভ্যাকসিন তৈরিতে দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগও হয়েছে। 

গত ৬ এপ্রিলও আরেকটি ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেকনোলজি কোম্পানি ইনোভিও। এ নিয়ে করোনার দুটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালালেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা।

ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়াতে প্রয়োগ করা এই ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গে ইনোভিও বলছে, এর মাধ্যমে ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। কোম্পানিটির একজন মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, চলতি বছরের গ্রীষ্মের শেষদিকে এই ভ্যাকসিনটির ফেইজ-১ ট্রায়াল সম্পন্ন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভ্যাকসিনটি সেই সময় মিসৌরি, কানসাস সিটি এবং ফিলাডেলফিয়ার ৪০ জন সুস্থ এবং প্রাপ্ত বয়স্ক স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রয়োগ করা হবে।

ফেইজ-১ ট্রায়ালের উদ্দেশ্য হচ্ছে- ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং যাদের শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাঙ্ক্ষিতভাবে সাড়া দিচ্ছে কিনা সেটি জানা। 

তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিনের কার্যকরীতা প্রমাণের জন্য আরও বেশি সংখ্যক মানুষের শরীরে এটি প্রয়োগ করা দরকার বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। এর ফলে চূড়ান্ত ভ্যাকসিন পেতে আরও দীর্ঘ কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।

এ প্রসঙ্গে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. পাবলো টেবাস বলেন, আমাদের প্রাথমিক এই গবেষণাকে এফডিএর দ্রুত তালিকাভূক্তির প্রত্যাশা করছি। এই ভ্যাকসিনটি যারা তৈরি করেছেন তাদের মধ্যে মহামারি থেকে মানুষকে রক্ষা করার একটি প্রবল আকুতি আছে। যতদ্রুত সম্ভব তারা এই ভ্যাকসিনটি সফল প্রমাণ করতে চান।

এর আগে প্রাণঘাতী করোনার অপর ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে মডার্না। গত মার্চে মার্কিন এই বায়োটেক কোম্পানি ভ্যাকসিনটির প্রথম ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগও করেছে। ইনোভিওর ভ্যাকসিনটি জিনগত উপাদান থেকে তৈরি করা হয়েছে। ইনোভিও এই ভ্যাকসিনের নাম দিয়েছে আইএনও-৪৮০০; যা ডিএনএ থেকে তৈরিকৃত।

এদিকে, ভ্যাকসিনটি তৈরিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের বিল গেটসের দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন অর্থায়ন করেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ইনোভিও বলছে, অর্থায়নের মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ফেইজ-১ ট্রায়ালের জন্য কয়েক হাজার আইএনও-৪৮০০ উৎপাদন করেছে। এছাড়া ফেইজ-২ এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আরও কয়েক হাজার ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৪১ হাজার ১২৮ জন এবং মারা গেছেন ৮২ হাজার ৯৯২ জন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫৪৯ জন এবং মারা গেছেন ১২ হাজার ৮৫৭ জন। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি