বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ১ লাখ ১৪ হাজার ২৪৭
প্রকাশিত : ০৮:৫৭, ১৩ এপ্রিল ২০২০
দিনদিন করোনা ভাইরাস ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে- সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ রূপে আবির্ভূত হয়েছে করোনা ভাইরাস। প্রতি মুহূর্তে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ২৪৭ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে সাড়ে ৮২ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার ৪৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২২ হাজার ১১৫ জন। গত দুই দিন আগে মৃতের সংখ্যায় ইতালিকে ছাড়িয়েছে দেশটি। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৯৯। আর আক্রান্ত ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৩ জন।
এরপরই রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ স্পেন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩১ জন। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ২০৯ জনের।
মৃতের সংখ্যায় চতুর্থ স্থানে একই মহামদেশের ফ্রান্স। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৩৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও ইরানে মারা গেছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৬১২ ও প্রায় ৪ হাজার ৪৭৪ জন।
উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৩৪১। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপনের অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে সময়ের সাথে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটিতে ২১ দিনের লকডাউন চলার মধ্যেও প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ২০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৩১ জন।
আর বাংলাদেশে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, রোববার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬২১ জন। এর মধ্যে প্রাণ গেছে ৩৪ জনের। গত ৮ মার্চ প্রথম দেশে করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে, ভাইরাসটির মহামারি রূপ এখনও সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেনের মতো সংঘাত কবলিত দেশগুলোতে সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি আরও বিপর্যয়কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন গুতেরেস।
তিনি বলেন, ‘ভাইরাসটি দেখিয়ে দিয়েছে কত দ্রুত তা সীমান্ত পার হতে পারে, দেশ বিধ্বস্ত করে দিয়ে জীবন কেড়ে নিতে পারে।’ করোনা মহামারি মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি সহায়তা দিতে উন্নত দেশ এবং বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
এমএস/