লকডাউন তুলতে চান ট্রাম্প!
প্রকাশিত : ১২:০৮, ১৪ এপ্রিল ২০২০
বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করা নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩ হাজার ছড়িয়েছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্ত রোগী যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু হঠাৎ করে এমন কী হলো যে যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের লকডাউন তুলে নেয়ার চিন্তা করছে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নয়টি রাজ্য ও পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সোমবার (১৩ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কোন গভর্নর নয়, লকডাউন তুলে নেয়ার পুরো ক্ষমতা আমার কাছে। আমি এবং অন্যান্য গভর্নররা এই বিষয়টিতে কাজ করছি। খুব শিগগিরই এ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।
ট্রাম্প বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকা আবার কীভাবে সচল করা যায় সে পরিকল্পনা করছে তার প্রশাসন।
আগামী ১ মে থেকে লকডাউন শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মানুষকে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। কোনো জায়গায় ১০ জনের বেশি জড়ো না হতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
সাংবাদিকরা এক পর্যায়ে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, যে লকডাউনের সিদ্ধান্ত রাজ্যের গভর্নররা নিয়েছেন তা প্রেসিডেন্ট তুলে নেওয়ার এখতিয়ার রাখেন কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে বেশ চটে গিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, তখন সমস্ত ক্ষমতাই তার হাতে থাকে।’
যদিও ট্রাম্পের এমন দাবি সমালোচনা করা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নন বরং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নররাই লকডাউন কবে তোলা হবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
লকডাউন থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও স্থবির হয়ে পড়েছে। করোনা মহামারীর এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা গতিশীল করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের লকডাউন তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৮২ হাজার ৬১৯ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৬০৮ জনের। ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে শুধু নিইউয়র্কে। এ রাজ্যটিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ।
এমবি//