ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

 করোনায় আক্রান্ত ৫৮ পুলিশ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৭, ১৮ এপ্রিল ২০২০

মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৮৩৮ জন। আর এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪৯ জন।

আক্রান্তের দিক থেকে বাদ নেই দেশের মানুষের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। জানা গেছে, দেশে ৫৮ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশেই (ডিএমপি) রয়েছে ২৭ জন। 

এছাড়া ১১ জন গোপালগঞ্জে, ৬ জন নারায়ণগঞ্জে, ৫ জন গাজীপুর মহানগর পুলিশে, ২ জন কিশোরগঞ্জে এবং ১ জন করে ময়মনসিংহ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ, পুলিশ টিঅ্যান্ডআইএম, এপিবিএন ময়মনসিংহ, নৌ-পুলিশ ইউনিট ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের সদস্য।

পুলিশ সদর দপ্তর এবং ডিএমপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

এদিকে এই ভাইরাসের ঝুঁকিতে আছেন, এমন ছয় শতাধিক পুলিশ সদস্যকে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ১৪৩ জন। আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৮৫ জন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দুই থানার সব পুলিশ সদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা আক্রান্ত হওয়ার পর ২২ কর্মকর্তাকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। গুলশান উপকমিশনারের কার্যালয়ে একজন সাধারণ কর্মচারী আক্রান্ত হওয়ার পর উপকমিশনারসহ ছয় কর্মকর্তা কোয়ারেন্টিনে গেছেন। 

রাজারবাগ পুলিশ ব্যারাকে একজন সদস্য আক্রান্তের পর তাঁর পাশে থাকা আটজনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় দাঙ্গা দমন বিভাগে (পিওএম) একজন আক্রান্ত হওয়ার পর একই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনস ব্যারাকে একজন আক্রান্ত হওয়ার পর ব্যারাকে থাকা ২০০ পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার পর্যন্ত এখানকার ১২ জন পুলিশ সদস্য করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। এরপর শুক্রবার পর্যন্ত আরও ১৫ জনের সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের যে সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা সবাই বাইরে দায়িত্ব পালনে গিয়েছিলেন। অসাবধানতাবশত মানুষের কাছাকাছি চলে যাওয়ায় তাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন বলে তাঁরা মনে করছেন।

এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। এ ছাড়া রাস্তায় জীবাণুনাশক ছিটানো, শ্রমজীবী মানুষকে সহায়তা করা, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া এবং কোয়ারেন্টিন থেকে পালানোদের খুঁজে বের করার কাজ করছেন তাঁরা। পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষাসামগ্রী না থাকায় দায়িত্ব পালনের সময় ‘অসাবধানতাবশত’ সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে এসে তাদের মধ্যে এই সংক্রমণ হচ্ছে।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি