ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

মিলেছে করোনার প্রথম ভ্যাকসিন!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৪, ৬ মে ২০২০ | আপডেট: ০৯:৩৩, ৬ মে ২০২০

প্রায় ছয় মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে এখনও বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনা ভাইরাস। কমপক্ষে ১০০টির বেশি ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য দেওয়া হয়েছে এবং কয়েকটির হিউম্যান ট্রায়ালও হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস রোধে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাকসিন বের হয়নি। অবশেষে আশার আলো দেখাল ইতালি। নভেল করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) পাওয়া গেছে! তাদের দাবি- পাওয়া গেছে আড়াই লাখ মানুষের প্রাণঘাতী করোনার প্রতিষেধক!

মঙ্গলবার সায়েন্স টাইমস ম্যাগাজিনে ইতালীয় গবেষকদের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রোমের স্প্যালানজানি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞরা করোনার প্রতিষেধক তৈরি করেছেন। এটি ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করে সাফল্য পাওয়া গেছে, তা মানুষের শরীরেও করোনা দূর করতে সক্ষম হবে।

ইতালীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি টাকিসের সিইও লুইগি আরিসিচিও স্থানীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, তাদের তৈরি এ প্রতিষেধকই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত পর্যায়ে রয়েছে।

গবেষকরা ইঁদুরের শরীরে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে দেখেছেন, এতে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের পাঁচটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট (সরকারি অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রতিষেধক) বিপুল সংখ্যাক অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এদের মধ্যে সেরা দু’টি প্রতিষেধক অনুমোদনের জন্য নির্ধারণ করেছেন গবেষকরা।

তাদের বিশ্বাস, প্রতিষেধকটি এই গ্রীষ্মের পরেই ব্যবহারের ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।

বর্তমানে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির গবেষণা চলছে। তবে তাদের কোনও প্রতিযোগিতায় যেতে রাজি নন লুইগি। তার কথায়, ‘করোনার সঙ্গে সবাই লড়ছে। আমরা কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি না। বরং সবার সহায়তা পেলেই লড়াই সার্থক হবে।’

প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১০০টির মতো ভ্যাকসিন গবেষণায় বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৬টি মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিন গবেষণার অতীতের সাফল্যের নিরিখে বলা যায় ১০০টির মধ্যে হয়তো ৬–৭টি ভ্যাকসিন কার্যকর হতে পারে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এত দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি এবং মানবদেহে প্রয়োগের এমন নজির আর নেই।

পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন গুলোতে মোটামুটি দুই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ভাইরাসের অতি ক্ষুদ্র একটি দুর্বল অংশ শরীরে প্রয়োগ করে ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধী অংশকে সক্রিয় করা এবং ওই ভাইরাসকে মনে রাখা। যাতে করে পরবর্তীতে সত্যিকার আক্রমণ ঠেকানো যায়। এটি প্রচলিত পদ্ধতি। বাজারের অধিকাংশ ভ্যাকসিন এই পদ্ধতিতে তৈরি। তবে ইতালির দাবি যদি সত্যি হয় তবে তা হবে বিজ্ঞানের বড় জয়।

সূত্র : সিএনবিসি
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি