বিশ্বজুড়ে করোনায় সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ মানুষ
প্রকাশিত : ০৯:৫৫, ৬ মে ২০২০ | আপডেট: ০৯:৫৬, ৬ মে ২০২০
বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজারেরো বেশি মানুষের। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ১২ লাখ।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৬৯১ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৯ জনের। আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩২ জন।
সিএসএসই'র তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ৭১ হাজার ৬৪ জন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বিশ্বে সর্বোচ্চ ১২ লাখ ৪ হাজার ৩৫১ জন। মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৯ হাজার ৫০১ জন। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৩ জন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩১৫ জনে। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪২ জন।
ইউরোপেরই অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে স্পেনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৬১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্পেনে মৃতের সংখ্যা যুক্তরাজ্য ও ইতালির চেয়ে কম হলেও আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৩২৯ জন। অন্যদিকে ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৫৩৭ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৭ জন।
করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে। তবে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস ক্রমে গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯২৯ জন। এদের মধ্যে ১৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৪০৩ জন।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। নিয়েছে আরও নানা পদক্ষেপ। যদিও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় খুলেছে পোশাক কারখানা। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি-না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও।
এমবি//