বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই, আক্রান্ত সোয়া ৪ লাখ
প্রকাশিত : ০৯:৫৪, ১৪ মে ২০২০
বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের উৎপত্তির সাড়ে চার মাস পূর্ণ হলো আজ। যাতে ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রায় ৩ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যা হয়তো কেউ ভাবতেও পারেনি।
ভাইরাসটির তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত থমকে আছে গোটা বিশ্ব ব্যবস্থা। আশঙ্কা অর্থনৈতিক মন্দার। এর মধ্যে নতুন করে ভয়ংকর তথ্য দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যেখানে বলা হয়, স্বল্প সময় নয়, চলমান করোনা সংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনায় এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২ লাখ ৯৭ হাজার ৭৬৫ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৩১৪ জনের। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ২২০ জন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৭ জনে ঠেকেছে। আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৬ লাখ প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে প্রাণহানি ১ লাখের কোটায়। গত একদিনে সেখানে ২১ হাজার ৭১২ জনের দেহে করোনা চিহ্নিত হয়েছে। আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮ জনে। প্রাণ গেছে আরও ১ হাজার ৭৭২ জনের। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ হাজার ১৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
মৃত্যুপুরী ইউরোপে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে। কয়েকটি দেশে তুলে নেয়া হয়েছে আংশিক লকডাউন। খোলা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন। তারপরও সেখানে থেমে নেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের দেশ স্পেনে গত একদিনে আরও ১৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৯৫ জনে।
অপরদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইতালিকে পেছনে ফেলে আক্রান্তে তৃতীয় তালিকায় ওঠা রাশিয়ায় নতুন করে আরও ১০ হাজার ২৮ জনের শরীরে করোনা মিলেছে। আক্রান্ত বেড়ে ২ লাখ ৪২ হাজার ২৭১ জনে পৌঁছেছে। প্রতিদিনই গড়ে সেখানে ১০ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পরই সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছড়ানোর হার। প্রাণ গেছে সেখানে নতুন করে ৯৬ জনের। এতে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ২১২ জনে ঠেকেছে।
এরপরই মৃতের তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে গত একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৪৯৪ জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ১৮৬ জনে ঠেকেছে। আক্রান্ত নতুন ৩ হাজার ২৪২ জনসহ ২ লাখ ২৯ হাজার ৭০৫ জন।
আংশিক শিথিলে থাকা ইতালিতে প্রাণহানি ৩১ হাজার ১০৬ জন। আক্রান্ত ২ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে।
ভয়াবহ অবস্থা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। গত একদিনে সেখানে ৭৪৫ জনের প্রাণ গেছে। মোট প্রাণহানি বেড়ে ১৩ হাজার ১৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৩৭২ জন নাগরিক। যাতে মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৫৭ জনে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতে। দেশটিতে সংক্রমণ বহনকারীর সংখ্যা সাড়ে ৭৮ হাজারে ছাড়িয়েছে। মারা গেছে ২ হাজার ৫৫১ জন।
আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল বুধবার পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন ১৭ হাজার ৮২২ জন। তাদের মধ্যে ২৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬১ জন।
এআই/এসএ/