করোনায় প্রাণ গেল বিশ্বের ৩ লাখের বেশি মানুষের
প্রকাশিত : ১০:০৩, ১৫ মে ২০২০
উৎপত্তির মাত্র সাড়ে চারমাস বা ১৩৫ দিনের মাথায় বিশ্বের ৩ লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটলো করোনায়। যার শিকার হয়েছেন সোয়া ৪৫ লাখ মানুষ। যদিও পুনরুদ্ধার হয়েছেন ১৭ লাখের বেশি জন। এখনও বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া এ ভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে প্রতিদিনই আসছে নতুন নতুন তথ্য।
যাতে যুক্ত হয়েছে হাচি-কাঁশির সঙ্গে কথা বলার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ। অন্যদিকে, চরম হুমকির মুখে গোটা গোটা বিশ্ব ব্যবস্থা। আশঙ্কা অর্থনৈতিক মন্দার। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য- স্বল্প সময় নয়, চলমান করোনা সংকট হবে দীর্ঘস্থায়ী।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, আবারও বেড়েছে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের ৯৬ হাজার ৩৩৩ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যাতে মোট সংখ্যা এখন ৪৫ লাখ প্রায় ২২ হাজার। ভাইরাসটির আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন নতুন করে ৫ হাজার ৩১৭ জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ৮২ জনে ঠেকেছে। আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার সংখ্যা ১৭ লাখ ৩ হাজার ২৭ জনের।
করোনার সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। গত একদিনে দেশটিতে ২৪ হাজার ২৪৫ জন মানুষ নতুন করে করোনার শিকার হয়েছেন। যাতে আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৩ জনে। প্রাণহানি ঘটেছে আরও ১ হাজার ৭১৫ জনের। ফলে, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৬ হাজার ৯১২ জনে দাঁড়িয়েছে।
মৃত্যুপুরী ইউরোপে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে। কয়েকটি দেশে তুলে নেয়া হয়েছে আংশিক লকডাউন। খোলা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন। তারপরও সেখানে থেমে নেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের দেশ স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ ৭২ হাজার ৬৪৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন দেশটির ২৭ হাজার ৩২১ জন মানুষ। আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে আক্রান্ত। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩০৫ জনের।
এরপরই প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে গত একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৪২৮ জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬১৪ জনে ঠেকেছে। আক্রান্ত নতুন ৩ হাজার ৪৪৬ জনসহ ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৫১ জন।
আংশিক শিথিলে থাকা ইতালিতে প্রাণহানি ৩১ হাজার ৩৬৮ জন। আক্রান্ত ২ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
ভয়াবহ অবস্থা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। গত একদিনে সেখানে অন্তত ৭৮০ জনের প্রাণ গেছে। মোট প্রাণহানি বেড়ে ১৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১২ হাজার ২১০ জন। যাতে মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩ হাজারে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতে। দেশটিতে সংক্রমণ বহনকারীর সংখ্যা সাড়ে ৮২ হাজারে পৌঁছেছে। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৬৪৯ জনের।
আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৬৩ জন। তাদের মধ্যে ২৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬১ জন।
এআই/এসএ/