ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কার্যকর পদ্ধতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০৮, ২৪ জুলাই ২০২০

বিশ্বে করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব ঠেকাতে নানা প্রচেষ্টাই করা হচ্ছে কিন্তু কোন কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছে না। তার ওপরে এর ভ্যাকসীন আদোতে কবে আসছে তার ঠিক সময় নির্ধারণ করা মুশকিল। করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের বহু দেশই লকডাউনের পথে হেঁটেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে লকডাউন না থাকলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা এবং চলাফেরার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এর মধ্যে এ মাসেই জানা গেল, কেবলমাত্র ড্রপলেটস্ এর মাধ্যমেই নয় বাতাসের মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সচেতনতাই সব থেকে জরুরি। তারা বলছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে চার মূল চাবিকাঠির অত্যন্ত প্রয়োজন। যেমন-

মাস্ক: 
নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে মাস্ক অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বাড়ির বাইরে পা রাখলে মাস্ক পরতেই হবে। তবে শুধুমাত্র পরলেই হবে না, সঠিক নিয়ম মেনেই তা পরতে হবে বলে মতামত দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে নাক ও মুখ ঢেকে থাকে। মাস্কটি যেন তিন স্তরবিশিষ্ট হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বাড়িতে যদি কোনও অসুস্থ মানুষ থাকেন, তবে তার কাছে যাওয়ার আগেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, মাস্ক পরার পর তা সঠিক নিয়ম মেনে পরিষ্কার করতে হবে। কোনও ভাবেই একটি মাস্ক একদিনের বেশি পরিষ্কার না করে পরা চলবে না।

সামাজিক দুরত্ব: 
মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা আবশ্যক। এক ব্যক্তির থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে কমপক্ষে ছয় ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এক জায়গায় অনেকে জড়ো হওয়া যাবে না। ভিড় জায়গা সবসময়ই এড়িয়ে চলতে হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো বন্ধ করতে হবে।

হাত ধোওয়া বা স্যানিটাইজ করা:
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক পরার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা হাত ধোওয়ার উপরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সঠিকভাবে হাত ধুলে বা স্যানিটাইজ করলে সংক্রমণ অনেকটাই ধাবংস করা যাবে। তাই বারবার হার ধোওয়ার উপর জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাইরে থেকে ফিরলে, খাবারের আগে এমনকী কর্মক্ষেত্রে থাকাকালীনও ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ করার উপদেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। হাত না ধুয়ে কোনও অবস্থাতেই চোখে, মুখে ও নাকে হাত না দেওয়ার দিকেও বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
বিশেষজ্ঞদের মতে, যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি করোনার বিরুদ্ধে তার লড়াই করা ততই সহজ। তাই এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সুষম আহার অর্থাৎ ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন ও ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি শরীরচর্চা, সময় অনুযায়ী ঘুমোনো ইত্যাদি মেনে চলতে হবে।

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি