রেশম কাপড়ের মাস্ক যথেষ্ট কার্যকর : গবেষণা
প্রকাশিত : ১১:০২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১০:০৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
করোনা সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক আর স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরাপর্শ দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, রাস্তাঘাট, বাজার-হাটের ক্ষেত্রেও অন্তত ২ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে। তবে করোনা আবহে সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মাস্কের। কিন্তু কোন মাস্ক সবচেয়ে বেশি কার্যকর এ নিয়ে অধিকাংশ মানুষই আছেন দ্বন্দ্বে।
কিছুদিন আগে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ জানান, যে ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ কাপড়ের মাস্কে করোনার সংক্রমণ এড়ানো যাবে না।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, সিল্ক বা রেশম কাপড়ে জীবাণু প্রতিরোধের ক্ষমতা সাধারণ কাপড়ের তুলনায় অনেক বেশি। তাই সিল্ক বা রেশম কাপড় দিয়ে তৈরি মাস্কে জীবাণু প্রতিরোধের ক্ষমতাও আর পাঁচটা সাধারণ কাপড়ের মাস্কের তুলনায় অনেক বেশি।
সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক প্যাট্রিক গুয়েরা জানান, সিল্ক বা রেশম কাপড়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান মজুদ রয়েছে। কারণ, রেশম উৎপন্নকারী বিশেষ শুঁয়োপোকা তুঁত গাছের পাতা খেতে ভালবাসে। তুঁতে প্রচুর পরিমাণে তামা থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রেশমের গুটি বা রেশম কাপড়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি থাকে।
এই গবেষকদের দাবি, একমাত্র সিল্কের মধ্যেই এমন উপাদান রয়েছে যা এন৯৫ মাস্কের মতোই ক্ষতিকারক ভাইরাস কণাকে প্রতিহত করতে সক্ষম। সিল্কের মাস্ক খুবই আরামদায়ক আর এতে নিশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হয় না। ফলে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সিল্কের মাস্ক এন৯৫ মাস্কের মতোই কার্যকর। অথচ এন৯৫ মাস্কের চেয়ে সিল্কের মাস্ক অনেক সহজলভ্য ও দামে সস্তা।
এএইচ/এসএ/