ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪

‘সামুদ্রিক শৈবাল সুনীল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে’

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২২:২৬, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

কক্সবাজারে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে উৎপাদিত শৈবাল দেশের সুনীল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে সামুদ্রিক শৈবাল নিরাপদ খাদ্যের অনন্য উৎস, সামুদ্রিক শৈবাল স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি জলজ উদ্ভিদ। 

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কক্সবাজারের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য তোলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ন সচিব অমল কৃষ্ণ মন্ডল।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রুহুল আমিন তালুকদার, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রধান রবার্ট ডি সিম্পসন।

অনুষ্ঠানের প্রথমপর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রচারণ বিভাগের পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, এস এম মহিবুল্লাহ, পরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, জিএমএ গফুর।

অনুষ্ঠানে প্রকল্পের বিষয়বস্তু ও অগ্রগতি সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফ এ ও এর ন্যাশনাল কন্সালটেন্ট প্রফেসর ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন, ডীন ফিশারিজ, একোয়াকালচার ও মেরিন সাইন্স অনুষদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামুদ্রিক শৈবাল এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বানিজ্যিকভাবে চাষ করা হয় এবং উত্তম খাবার হিসেবে প্রতিদিন গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশের সমুদ্র উপকুলে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল পাওয়া যায়, যাদের মধ্যে ৬-৮ প্রজাতি বাণিজ্যিকভাবে চাষে করা সম্ভব।
বর্তমানে লাল সামুদ্রিক শৈবাল বা সমুদ্র সেমাই বানিজ্যক ভাবে চাষ করা হচ্ছে।

উক্ত প্রকল্পের আওতায় ১২০ জন চাষীকে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ, প্রক্রিয়াজাত করণ ও বাজারজাতকরণের উপর, ৪০ জন উদ্যোক্তাকে সামুদ্রিক শৈবাল হতে বিভিন্ন খাদ্য তৈরির পদ্ধতির উপর এবং ২০ জন নারীকে সামুদ্রিক শৈবাল হতে প্রসাধনি সামগ্রি তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় উপকুলের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনি প্লট তৈরি করে চাষীদের চাষ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়।

রবার্ট ডি সিম্পসন 'সামুদ্রিক শৈবাল সমুদ্রের এক মূল্যবান সম্পদ, যা বিভিন্নভাবে খাদ্য হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহার হতে পারে। যা থেকে বিভিন্ন ধরণের ঔষধ, প্রসাধনি সামগ্রি, সার, বায়োফুয়েল সহ অরো অনেক কিছু তৈরি করা যায়।' বিশ্বে প্রায় ৩৩ বিলিয়ন টনের বেশি সামুদ্রিক শৈবাল চাষ করা হয় যার বাজারমূল্য প্রায় ১১.৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার।

বক্তারা আরও বলেন, সামুদ্রিক শৈবাল সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উদ্ভিদ, যা সমুদ্রে প্রাথমিক উৎপাদনশীলতা তৈরিতে সাহায্য করে এবং সমুদ্রের প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সামুদ্রিক শৈবালের খাদ্য মেলা উদ্ধোধন করেন কক্সবাজার মিনিসিপিলিটির মেয়র মুজিবুর রহমান। এরপর তিনি সামুদ্রিক শৈবালের খাদ্য বিগননের জন্য সাস্থসম্মত খাদ্য তৈরির জন্য ২৫টি ফুড-কার্ট বিতরণ করেন।  

উক্ত অনুষ্ঠানে মৎস অধিদপ্তরের পরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের বিজ্ঞানিগণ, বাংলাদেশ ফিসারিজ রিসার্স ইনিষ্টিটিউটের বিজ্ঞানিগণ উপস্থিত ছিলেন।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি