ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ অক্টোবর ২০২৪

কিশোরী ধর্ষণের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন, স্ত্রীর ৭ বছরের দণ্ড

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:২২, ৬ জানুয়ারি ২০২২

নড়াইল সদর উপজেলার বামনহাট এলাকায় কিশোরী (১২) ধর্ষণের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন ও স্ত্রীর সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। 

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সানা মোঃ মাহরুফ হোসাইন এ আদেশ দেন।

এর মধ্যে বামনহাট গ্রামের লিয়াকত মোল্যা (৬৯)কে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং এ অপকর্মে সহযোগিতা করার জন্য স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৮)কে সাত বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড আদেশ দিয়েছে আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নড়াইল সদরের বামনহাট গ্রামে ১২ বছরের কিশোরীকে প্রতিবেশি চাচা লিয়াকত মোল্যা ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর নামে ২০২১ সালের ৬ মার্চ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। 

মামলা দায়েরের প্রায় সাত মাস আগে লিয়াকত ওই কিশোরীকে টাকার লোভ দেখিয়ে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। তাতে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী ঘটনাটি তার মা ও বোনকে জানায়। 
ভিকটিমের পরিবার পরবর্তীতে গ্রামের লোকজনকে জানালে তারা আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। 

ভূক্তভোগী পরিবারের অজান্তে কিশোরীর গর্ভপাত ঘটানোর জন্য আসামি লিয়াকত মোল্যা তাকে ওষুধ খাওয়ালে ওই বছরের ৪ মার্চ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অপকর্মে লিয়াকতের স্ত্রী সুফিয়া তাকে সহযোগিতা করেন। 

সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি