ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ অক্টোবর ২০২৪

ছয় মাসে হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি ৩৩ কোটির বেশি

হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:১০, ৯ জানুয়ারি ২০২২

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর)পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরনে ঘাটতির পরিমান দাড়িয়েছে ৩৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। যদিও এসময়ে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ১৯৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। যদিও ডিসেম্বর মাসে ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। অর্থবছরের বাকি সময়ের মধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। 

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সে হিসেব মোতাবেক অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই মাসে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ কোটি ৩৫লাখ টাকা এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগষ্ট মাসে ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে ৩৯ কোটি ২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ডিসেম্বর মাসে ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। 

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ করায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি নির্ধারণ করে দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যার কারণে অর্থবছরের শুরু থেকেই হিলি স্থলবন্দর থেকে এনবিআর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ বেশি হচ্ছে।বন্দরের রাজস্ব আহরণ নির্ভর করে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি রফতানির উপর। তবে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরন বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নিয়মের মধ্যে থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত পরিক্ষন, শুল্কায়ন, খালাসসহ ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বাড়ানোর মধ্য দিয়ে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে যে ধারায় বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি রফতানি কার্যক্রম চলছে তাতে করে অর্থবছরের বাকি সময়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হতে পারে।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি