ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪

কাজ না থাকলে ঘাস কাটা-এখন আর কথার কথা নয় (ভিডিও)

খুরশীদ আলম মুকুল

প্রকাশিত : ১২:২৭, ১৮ নভেম্বর ২০২২

কাজ না থাকলে ঘাস কাটা-এখন আর কথার কথা নয়। ঘাস বিক্রির আয় পাল্টে দিয়েছে যমুনাপাড়ের জীবনজীবিকার চিত্র। অন্তত ৬ শ’ পরিবারের সংসার চলছে মাঠের গাস বাজারে বিক্রি করে। গড়ে উঠেছে ঘাসের বাজার।

টাঙ্গাইলর সদর, ভূঞাপুর, কালিহাতী ও গোপালপুর উপজেলা সংলগ্ন যমুনায় জেগেছে অসংখ্য চর। ঘাসে সবুজ-শ্যামল বিস্তৃর্ণ এলাকা। প্রাকৃতিকভাবে জন্মেছে দূর্বা, বাদাইল, গইজা, গর্বা, কাইসা-সহ নানা ঘাস। এসব ঘাস বাজারে বিক্রি করে চলছে ৬ শতাধিক পরিবার। এক আঁটি ঘাস ৮-১০ টাকা, আর এক বোঝা সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়।

গো-খাদ্য সংকটের কারণেই মূলত ঘাস বেচা-কেনাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন অনেকে। তারা জানান, বাজারে এসব ঘাস বিক্রি করে প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৫০০ টাকা উপার্জন হয়। যা দিয়ে চলে সংসার ও ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা।

একজন ঘাষ বিক্রেতা বলেন, "সারাদিন ঘাষ কাটি, বিকাল বেলা এই বাজারে বিক্রি করি।"

আরেক বিক্রেতা বলেন, "আট টাকা-দশ টাকা আটি ঘাষ বিক্রি করে সংসার চালাই।" 

ক্রেতারা বলছেন, খড়, ভুসিহ গো-খাদ্যের দাম বেশি। তাই কম দামে তাজা ঘাস কিনে পশুপালন করছেন তারা। কুঠিবয়ড়া, গোবিন্দাসী, মাটিকাটা, ন্যাংড়াবাজার, সিরাজকান্দী, পাথাইলকান্দি, বেলটিয়া এলাকায় প্রতিদিন বসে ঘাসের বাজার।  

একজন ঘাষের ক্রেতা বলেন, "আমরা দশ টাকা আটি কিনে গরু ছাগলকে খাওয়াই।"

আরেক ক্রেতা বলেন, "কাঁচা ঘাষ খাওয়ালে গরু ছাগলের দুধ ভালো হয়।" 

"এ আটি খ্যাড়ের দাম ১৮ টাকা, ১৮ টাকার খ্যাড় না কিনে ঘাষ কিনলে তিনটা গরুকে খাওতে পারি।" বলেন আরেক ক্রেতা। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, গরু-ছাগল, ভেড়া, মহিষের জন্য তাজা ঘাস খুবই উপযোগী। 
টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া বলেন, "খরচও কম হচ্ছে, পাশাপাশি খামারির গরুর ছাগলের স্বাস্থ্যও ভালো থাকছে।" 

যমুনার তীর ঘেঁষা জায়গাগুলো এক সময় মাছের বাজার হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন ‘ঘাসের বাজার’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি