ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪

অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে চারশ’ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স (ভিডিও)

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ১১:৫৬, ২ মার্চ ২০২৩

দু’তিন বছর আগে নির্মাণ শেষ হলেও নির্বাচিত কমিটি না থাকায় এখনও ভবনের চাবি বুঝে পাননি বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ব্যবহার না হওয়ায় অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে দেশের প্রায় চারশ’ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। তবে শিগগিরই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে ভবনের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। 

প্রায় এক হাজার ২২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ৪৭০টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে সরকার। চার শতাধিক ভবনের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। তবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন না হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে এসব ভবনের চাবি হস্তান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না। 

এতে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে নতুন ভবন ও নানা সরঞ্জাম। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মেহেরপুরের গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার দুটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের কক্ষ, দরজা-জানালা, আসবাবপত্রের অবস্থা বেহাল। নষ্ট হয়ে গেছে জেনারেটর; নেই বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন বলেন, “বহু টাকার আসবাবপত্র এসেছে, সেই জিনিসগুলো একটা রুমে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলো এখন নষ্টের পথে। ভবনটি সবসময় বন্ধ থাকে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনও দেওয়া হচ্ছে না।”

প্রায় একই চিত্র মুন্সীগঞ্জ, নওগাঁসহ দেশের অন্যান্য উপজেলায় নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের। নির্মাণ শেষে দু’বছর ধরে তালাবদ্ধ নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে জেলার দশটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সও। 

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী জানান, স্থানীয় পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন শেষ হলে চাবি হস্তান্তর করা হবে। 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “এখন যেহেতু নির্বাচিত কোনো সংসদ নেই সেজন্য অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে প্রশাসনের লোকেরা ডিসি-ইউএনও’রা চালাচ্ছেন।”

উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে গড়ে খরচ হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি