ঢাকা, বুধবার   ১৬ অক্টোবর ২০২৪

অপদেবতাকে তাড়িয়ে শুরু হলো ‘চৈরাউবা কুম্মৈ’ ৩৪২১

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৯, ২৫ মার্চ ২০২৩

নতুন ফসলের ভোগ দিয়ে অপদেবতাকে তাড়িয়ে শুরু হলো মৈতৈ মণিপুরিদের নববর্ষ ‘চৈরাউবা কুম্মৈ’ ৩৪২১। শুধু অপদেবতাকে তাড়ানো নয় এই নববর্ষকে বরণ করতে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের ডালা সাজায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মৈতৈ মনিপুরি অধিবাসীরা।

শুধু মনিপুরি অধিবাসীরাই নয় তাদের সাথে সামিল হন জেলা ও উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকতারা, কবি, সাহিত্যিক, জনপ্রতিনিধি ও সংস্কৃতিজনেরাও। এই উৎসব উদযাপনে পূর্বেই গঠন করা হয় প্রস্তুতি কমিটি। যাদের আয়োজন দিন থেকে রাত পর্যন্ত ছিল উৎসবমূখর।

উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক থৌওনাজম নিরঞ্জন সিংহ জানান, মণিপুরিদের নিজস্ব একটি বর্ষগণনারীতি রয়েছে। ‘মালিয়াকুম’ নামের এই চান্দ্রবর্ষের হিসেবে ৩৪২১ তম বর্ষ বুধবার (২২ মার্চ) শুরু হলো।

সময়ের আবর্তে তা আজ অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে। নতুন প্রজন্মের অনেকই তা জানেন না। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে তা জানাতে এবং মুনিপুরিদের এই ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি ধরে রাখতে কমলগঞ্জে প্রতিবছরই ‘চৈরাউবা কুম্মৈ ৩৪২১’ উৎসবের আয়োজন করেন।

বুধবার  সকালে কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের খেলার মাঠে জাতীয় পতাকা, সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং সাথে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে “চেরাউবা কুম্মৈ” এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট এস, সি, সিনহা।
 
পরে মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও উপকরণ নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি গ্রামের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা প্রদিক্ষণ করে উৎসবস্থলে এসে শেষ হয়। দুপুরে দেয়া হয় নতুন ফসল দিয়ে অপ দেবতার ভোগ ও পূজার্চনা। এর পর আয়োজন করা হয় তাদের ঐতিহ্যবাহী পাশাখেলা।

 বুধবার রাতে আয়োজন করা হয় গুণীজন সংবর্ধনা, মণিপুরিদের গবেষণামুলক প্রবন্ধ উপস্থাপন, বিভিন্ন ভাষার কবিদের অংশগ্রহণে কবিতা পাঠ, খেলাধুলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী থাবল চংবা। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি