ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৫, ২৬ আগস্ট ২০২৪

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অংশে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ, এ যানজটে আটকা পড়েছে বন্যাদুর্গতদের জন্য নিয়ে যাওয়া ত্রাণবাহী ট্রাক-লরি ও ছোটখাটো যানবাহনও। 

সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইওয়ে পুলিশের দাবি, গত তিনদিন মহাসড়কে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে সড়কের অধিকাংশ স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যানবাহন চলাচলে ধীরগতি থাকার কারণে এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

গত বুধবার রাত থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপুল ও লেমুয়া ব্রিজ এলাকায় বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় উভয় দিকে কয়েক হাজার যানবাহন আটকে পড়ে। নষ্ট হয় লাখ টাকার কাঁচামাল। পাঁচদিন পর রবিবার বিকেলে লালপুল ও লেমুয়া ব্রিজ এলাকার মহাসড়ক থেকে পানি নেমে গেলেও চট্টগ্রাম লেনের স্থানটি ডেবে যায়।

পরে সন্ধা থেকে উল্টো লেন দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল শুরু করে। মহাসড়কের যান চলাচলের খবর পেয়ে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ আরো তীব্র আকার ধারণ করে।

মহাসড়কের কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। গাড়ি চলাচল করার সময় এসব গর্তে পড়ে অনেক গাড়ি বিকল হয়ে যায়।

মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম লালবাগ এলাকা থেকে দুই লেনে ৪৫ কিলোমিটার তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে গণপরিবহনের নারী ও শিশুদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যানজটে আটকা পড়ে আছে ত্রাণবাহী গাড়ি।

এক লরিচালক বলেন, ‘মহাসড়কে যান চলাচল শুরুর খবর শুনে গত সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে গার্মেন্টসপণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে রওনা হয়েছি। ১৬ ঘণ্টা হয়ে গেছে এখনো চৌদ্দগ্রাম পার হতে পারিনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে আছি।’

ত্রাণ দিতে আসা হাসিবুল ইসলাম জানান, চৌদ্দগ্রাম গুণবতী এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করে রাত রবিবার রাত ৯টায় মহাসড়কে পদুয়া রাস্তায় মাথা থেকে কুমিল্লা বিশ্বরোড সোমবার সকালে এসেছেন। রাতে মহাসড়কে কোন পুলিশ বা সেনাবাহিনী দেখি যায়নি। এলাকার কিছু ছাত্র যানজট নিরসনে কাজ করেছে।
 
এ বিষয়ে জানতে চৌদ্দগ্রাম মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ লোকমান হোসেনকে বারবার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
 
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক করতে দেবে যাওয়া স্থান এবং গর্তগুলো মেরামতের কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া সড়কে নতুন করে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মহাসড়কের ফেনী লালপুল ও লেমুয়া ব্রিজ এলাকায় দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে সড়কের উভয় পাশে কয়েক হাজার গাড়ি আটকা পড়ে। সড়কে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে অনেক জায়গা দেবে গেছে এবং কুমিল্লার অংশে অনেক জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার বিকেল থেকে সড়কের ফেনী অংশ থেকে পানি নেমে যাওয়ায় পুলিশের সহায়তায় যান চলাচল শুরু করা হয়।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি