তিন জেলায় বন্যার অবনতি, মৃত্যু ৮
প্রকাশিত : ২০:৫৭, ৭ অক্টোবর ২০২৪
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে নদ-নদীর পানি বিপদৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্গতদের জন্য খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। এদিকে বন্যায় পানিতে ডুবে আট জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ১৮৬টি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মৃতরা হলেন- নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী (৬৬), নিশ্চিন্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের দুই ভাই আলম (১৭) ও হাতেম (৩০), বাঘবেড় বালুরচরের ওমেজা বেওয়া ও নকলা উপজেলায় উরফা ইউনিয়নের কুড়েরপাড় গ্রামের মুকতার আলী (৫০)। এ ছাড়া ঝিনাইগাতীর সন্ধাকুড়া থেকে একজনের ও নকলা থেকে অজ্ঞাত আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত-
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাটের ১৯টি ইউনিয়নের ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দর্শা ও নেতাই নদীর পানিতে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ডুবে গেছে। জলমগ্ন বাড়িঘর-রাস্তাঘাট। পানি ঢুকে পড়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান-হাসপাতালেও। দুর্ভোগে লাখো মানুষ। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনে। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবারের সংকট। বাড়ছে ভোগান্তি।
নেত্রকোণা
নেত্রকোণার দুর্গাপুর, কলমাকান্দাসহ পাঁচ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। পানি উঠেছে ময়মনসিংহ ও পূর্বধলার জারিয়া রেলপথে। এতে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
শেরপুর
এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুসহ মহারশি নদীর ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে তিন দিন ধরেই পানি ঢুকছে শেরপুরের লোকালয়ে। স্রোতের তোড়ে বাঁধ সংস্কারের কোনো উপায় নেই। জলমগ্ন হয়ে আছে পাঁচ উপজেলার দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। বাড়িঘর ছেড়ে সেখানে ঠাঁই নিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া জানান, সকল ধরনের প্রস্তুতি আছে। বন্যাদুর্গত মানুষের খাদ্যসহ যে চাহিদা সে মোতাবেক সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ সহায়তা দিয়েছে। উপজেলাগুলোতে ৫৮টি আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করেছি। রান্না করা খাবারসহ শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান, নেত্রকোনায় তিন দিনে সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। গত তিন দিনে ৭৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বন্যার্তদের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা দুর্গত ১ হাজার পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল শিশু খাদ্য ও গো খাদ্যের জন্য নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
এসএস//
আরও পড়ুন