দুই জেলায় বন্যার অবনতি, নতুন এলাকা প্লাবিত
প্রকাশিত : ১০:২৬, ৯ অক্টোবর ২০২৪
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অবনতি হয়েছে নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহে। এ দুই জেলায় বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি সংকট। দুর্ভোগে তিন জেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধান, সবজি আবাদ ও মাছে ঘের।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ৬ দিন ধরে প্লাবিত শেরপুর, নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহের কয়েক উপজেলা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আড়াই লাখ মানুষ।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া, হালুয়াঘাট ও ফুলপুর উপজেলায় বন্য পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আবারও বৃষ্টি হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে এসব উপজেলার নতুন নতুন এলাকা।
বানের পানিতে তলিয়ে আছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, হাটবাজারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নষ্ট হচ্ছে আমন ধান ও মাছের ঘের। দুর্ভোগে পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।
গতকাল মুষলধারে হওয়া বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে নেত্রকোনায়ও। বৃদ্ধি পেয়েছে ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি।
নেত্রকোনার পাঁচ উপজেলায় এখনও প্রায় ২শ’ গ্রামে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
তবে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে শেরপুরে। কমছে মহারশি ও সোমেশ্বরীসহ চারটি নদীর পানি। তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি মানুষের ভোগান্তি। পানি নামেনি বসতঘর থেকে। এখানেও সংকট সুপেয় পানির।
আকস্মিক বন্যায় নিমজ্জিত এ জেলার প্রায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান এবং এক হাজার হেক্টর জমির সবজি আবাদ। তলিয়ে গেছে ৬ হাজার ৭১ টি মাছের ঘের। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২ লাখ চাষী।
শেরপুর ও নেত্রকোনায় এখন পর্যন্ত বন্যার পানিতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
এএইচ
আরও পড়ুন