রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা, নেপথ্যে যে কারণ
প্রকাশিত : ১৬:২৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মোঃ আলম শেখ (৪৫) নামে এক মাংস ব্যবসায়ীকে কৌশলে ডেকে এনে হাত-পা বেঁধে মাটিতে পুতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে জেলার বালিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহত ব্যবসায়ী আলম শেখ ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার মাজবাড়ী এলাকার সেলিম শেখের ছেলে। বর্তমানে সে টঙ্গী চেরাগআলী বড় দেওরা ফকির মার্কেটের একজন মাংস ব্যবসায়ী।
গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভীম নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানার হরেন রায়ের ছেলে সবুজ রায় (২২), একই জেলার ইয়াকুবপুরের মৃত মাহফুজ আলী শেখের ছেলে হিরা শেখ (২৮), আশরাফুল আলী শেখের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (১৮) ও রাজবাড়ী জেলা শহরের ধুনচি এলাকার আনু মন্ডলের ছেলে ফরহাদ মণ্ডল (৩৮) ও ফরহাদের দ্বিতীয় স্ত্রী রেশমা বেগম (৩০)।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ইটভাটা শ্রমিক ফরহাদ মণ্ডল ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এক সময় ব্যবসায়ী আলম শেখের বাসার কাছে আমার বাসা ছিল। সে আমার স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলতো এবং তাকে পছন্দ করতো। এমন কি বিয়েও করতে চেয়েছিল। নিষেধ করাও হয়েছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ইতোপূর্বে সেখানকার পোলাপান আলমকে আটক মারধোর করে এবং টাকা নিয়েছে। তার ইট ভাটার অনেকেই বিষয়টি জানে।
আহত ব্যবসায়ী আলম শেখ জানান, তিনি টঙ্গী চেরাগ আলীর ব্যবসায়ী। তিনি রাজবাড়ী সদরের ইটভাটা শ্রমিক ফরহাদ মণ্ডলের কাছে কিছু টাকা পান। সেই টাকা দিবে বলে বালিয়াকান্দির জামালপুরে ফরহাদের স্ত্রী রেশমা বেগম তাকে ডেকে আসেন। সেখানে পৌঁছানোর পর রেশমাই তাকে আনতে যান এবং তাকে ভীমনগর নিয়ে আসেন। পূর্বে থেকে ভীমনগরে অবস্থান করছিল ফরহাদসহ ইটের ভাটায় কাজ করা বেশ কয়েকজন।
যখন তিনি সেখানে আসেন তখন তাকে একটি পরিত্যাক্ত ইটভাটায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে মাটি চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে চার জনকে আটক ধরে গণধোলাই দেয় এবং তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওই সময় আরও কয়েকজন পালিয়েছে যান বলে জানান তিনি।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনগণের হাতে আটক ৪ জন পুলিশি হেফাজতে নেন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আলমে শেখের ভাই উজ্জল শেখ বাদী হয়ে ৫ জনকে চিহ্নিত করে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ওই মামলার আসামি হিসেবে ফরহাদের দ্বিতীয় স্ত্রী রেশমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন