বড়াইবাড়ীতে ভারতবিরোধী বিজয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি
প্রকাশিত : ১৮:৪০, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রামের বড়াইবাড়ীতে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাহসী প্রতিরোধের স্মরণে দিনটিকে ‘জাতীয় প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা এসব দাবি তুলে ধরেন। বক্তৃতায় শহীদদের ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ এবং প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে বলা হয়, ২০০১ সালের ওই দিনে বড়াইবাড়ী সীমান্তে মাত্র ৯ জন বিডিআর সদস্য ও গ্রামবাসী মিলে ৫৫০ জন বিএসএফ সদস্যের আগ্রাসন প্রতিহত করে। এই যুদ্ধে শহীদ হন ল্যান্স নায়েক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজুর রহমান ও সিপাহী আব্দুল কাদের।
সমাবেশে প্রস্তাব করা হয়, শহীদদের ‘বীরশ্রেষ্ঠ’, বিডিআর সিও শাহরুখ জামানকে ‘বীর প্রতীক’ এবং প্রতিরোধের স্থানীয় নেতা ডা. সাইফুল ইসলাম লাল মিয়া ও প্রথম সংবাদদাতা মিনহাজ আলীকে ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
বক্তব্যে ডা. সাইফুল ইসলাম লাল মিয়া বলেন, “বিএসএফ যখন পাদুয়ায় হার মানে, তখন প্রতিশোধ নিতে বড়াইবাড়ীতে হামলা চালায়। সেই হামলায় প্রতিরোধ গড়ে তুলি আমরা গ্রামবাসী। দেশের জন্য জীবন দেওয়ার সেই ইতিহাস আজও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি।”
প্রথম সংবাদদাতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, “সেদিন ভোরে বিএসএফ ঢুকে পড়ার খবর আমি বিডিআরকে জানাই। এরপর শুরু হয় যুদ্ধ। আমি ছিলাম তাদের সঙ্গে। গ্রামের মানুষও একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, “১৮ এপ্রিল একটি ঐতিহাসিক দিন। কিন্তু আজ সেটা ভুলে যাওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত সীমান্তে গুলি করে বিএসএফ, অথচ সরকার চুপ থাকে ভারতের মন রক্ষা করতে গিয়ে।”
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শামসুদ্দিন বলেন, “যে যুদ্ধ হয়েছিল বড়াইবাড়ীতে, সেটা ইতিহাস। শহীদদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিতে হবে। আহতদের ভাতা দিতে হবে। সেই সময়কার সরকারও এ বিষয়ে কিছু করেনি। বর্তমান সরকার তো বড়াইবাড়ীর শহীদ মিনার পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “এই যুদ্ধকে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে কিভাবে দেশ রক্ষা করেছিল সাধারণ মানুষ ও বিডিআর।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী নেতা ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং শাক, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব মো. আবু হানিফ, সাংবাদিক শাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্রপরিষদ ও বিভিন্ন ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।
এসএস//
আরও পড়ুন