রানা প্লাজার ঘটনায় আসা অনুদানে দুর্নীতি, শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি
প্রকাশিত : ১১:২১, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মর্মান্তিক শিল্প দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির একযুগ পূর্তি আজ। এ উপলক্ষে রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, আহত শ্রমিক ও নিহতের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ড ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও আহত শ্রমিকরা অবিলম্বে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার ফাঁসি দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সমাবেশে এক যুগ পার হলেও বিচার কার্যকর না হওয়ায় ও আহত-নিহতের পরিবারদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে পূনর্বাসন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনার পর বিশ্বের অনেক দেশ হতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা অনুদান এলে তা ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হয়নি। এতে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ আনেন তারা।
অবিলম্বে এ সকল তদন্ত করে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের দাবি করেন তারা।
এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসতে দেখা গেছে।
যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল সকাল ৮.৪৫ মিনিটে সাভার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বহুতল বিশিষ্ট রানা প্লাজা ভবন সম্পূর্ণ ধ্বসে পরে। ওই ভবনে তিনটি পোষাক কারখানা ও কয়েকশ’ দোকান ছিল। কর্মরত কয়েক হাজার মানুষ মুহূর্তেই ধ্বসে পরা ভবনের নিচে চাপা পরে।
এ ঘটনায় নিহত হয় ১১৩৫ জন ও আহত হয় প্রায় ২ হাজার মানুষ। তৎকালীন সময়ে অনেকেই নিখোঁজের অভিযোগ করেন। তাদের ব্যাপারে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টদের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওই ঘটনার পর ভবন মালিক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একটি মামলায় তার ফাসিঁর রায় হলেও এক যুগ পেরিয়ে তা আজ অবধি কার্যকর হয়নি। ওই ঘটনার পর দায়ীদের শাস্তি কার্যকর ও ক্ষতিগ্রস্থ্যদের স্থায়ী পূনর্বাসনের দাবি জানায় শ্রমিক সংগঠনগুলো ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার এই ঘটনায় আহত ও নিহতের পরিবারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ও দোষীদের শাস্তি কার্যকরের দ্রুত পদক্ষেপ নিবে এমনটিই প্রত্যাশা সকলের তাদের।
এএইচ
আরও পড়ুন