ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ঝন্টু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রংপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নগরীর নুরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।  এরপরে সাবেক মেয়রের লাশ হেলিকপ্টারে করে রংপুরে নিয়ে আসা হয়। মরদেহ নগরীর পুলিশ লাইন মাঠে নিয়ে আসা হলে পুলিশের একটি চৌকস দল বীর এই মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

বিকালে রংপুর পুলিশ লাইন মাঠে তাঁর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার মানুষ জানাজায় অংশ নেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা, মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ ছিলেন এই জানাজায়। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নগরীর নুরপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তার মরদেহ নগরীর গুপ্তপাড়ার বাসভবনে নিয়ে আসা হলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মরদেহের সাথে আসেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, রংপুরের মুকুটহীন সম্রাট ছিলেন ঝন্টু। শ্রমিক রাজনীতি দিয়ে শুরু করলেও পরে তিনি কর্মদক্ষতার মাধ্যমে পুরো রংপুরে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। তিনি নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, রংপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান, জাতীয় সংসদ সদস্য এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ছিলেন। এমন বিরল সৌভাগ্যবান রাজনীতিবিদ আর কতজন আছে? তার মৃত্যুতে দেশ একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদকে হারালো। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দলের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানাতে আমি রংপুরে এসেছি।’

উল্লেখ্য, মস্তিকে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঝন্টুকে রংপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে তিনি মারা যান।

কেআই/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি