সুন্দরবনে প্রাচীন মানববসতির সন্ধান
প্রকাশিত : ১৮:৫২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
সুন্দরবনে প্রাচীন মানবসতির সন্ধান পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে বেশ কিছু স্থাপনাও। এই স্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় স্থাপনা পাওয়া গেছে বঙ্গোপসাগর উপকূলের খেজুরদানা, আড়পাঙ্গাশিয়া ও শেখেরটেকে অঞ্চলে।
আরও কিছু স্থাপনার খোঁজ মিলেছে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা অংশের খোলপটুয়া নদীতীরে এবং খুলনা অংশের কটকায়।
ইসমে আজম নামে এক গবেষকের ব্যক্তিগত ও একাগ্র অনুসন্ধানে এসব নিদর্শন উদ্ঘাটিত হয়েছে।তিনি বাঘ গণনা ও সংরক্ষণের কাজে সুন্দরবনের দুর্গম অঞ্চলে প্রায় সাত বছর ধরে যাতায়াত করছেন। ওই অঞ্চলে তিনি কিছু ভগ্নস্তূপ ও মানুষের ব্যবহার্য সামগ্রী দেখতে পান। পরবর্তীতে সুন্দরবনের পাড় ভেঙে গেলে এবং মাটির ওপরের স্তর সরে গেলে ওই স্থানে তিনি বেশ কিছু স্থাপনা দেখতে পান। এভাবে তার কৌতূহল জাগে এবং এসব নিদর্শন ও স্থাপনার তথ্য-উপাত্তও সংগ্রহ করতে থাকেন।
এর আগে সুন্দরবনে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের জরিপ, বন বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপে বেশ কিছু স্থাপনা বেরিয়ে আসে । তবে সেসব গবেষণা ও জরিপে সুন্দরবনের প্রাচীন কিছু স্থাপনা চিহ্নিত করা হলেও সেগুলোর সময়কাল এবং সেগুলো ব্যবহারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় নি।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, এই স্থানগুলো কমপক্ষে এক হাজার থেকে বারো শ বছরের পুরোনো। স্থাপনাগুলো পর্যবেক্ষণ এবং সেসবের শৈলী বিশ্লেষণ করে সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ধারণা করেন, এগুলোতে ব্যবহৃত ইটের বৈশিষ্ট্য ও স্থাপনারীতি পাল আমলের। সে হিসেবে স্থাপনাগুলো আনুমানিক এক হাজার থেকে বারো শ বছর আগের তৈরি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আরেক অধ্যাপক স্বাধীন সেন মনে করেন, এসব স্থাপনা ও ব্যবহার্য সামগ্রী এক হাজার থেকে বারো শ বছর আগেকার।
এমএইচ/ এআর
আরও পড়ুন