অগ্নিঝরা দিনগুলোতে উত্তাল ছিল টাঙ্গাইল [ভিডিও]
প্রকাশিত : ২২:০৯, ৬ মার্চ ২০১৮
১৯৭১ সালে মার্চের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে টাঙ্গাইল ছিল আন্দোলনে উত্তাল। প্রতিদিনই চলে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ। এছাড়া, বাঁশের লাঠি ও ক্যাডেট কোরের ডামি রাইফেল দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ।
পাশাপাশি চলে মুক্তিযোদ্ধা ও অস্ত্র সংগ্রহ অভিযান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কোরআন শপথ ও স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন। গঠিত হয় কাদেরিয়া বাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের ছিলো গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই টাঙ্গাইলে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। সেই রাতেই শহরে একটি গোপন সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার।
ছাত্র- জনতা মিলে টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন থানা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণ শুরু করে। ৩রা মার্চ মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় বাঁশের লাঠি ও ক্যাডেট কোরের ডামি রাইফেল দিয়ে।
এদিকে ২৩শে মার্চ পাকিস্তান দিবসে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে জেলার মুক্তিকামী জনতা একত্রিত হয়ে স্যালুট জানায় জেলার সামরিক প্রধান আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে। আর ২৬ মার্চ টাঙ্গাইল থানা ও সাকির্ট হাউজে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা জেলা ট্রেজারির তালা ভেঙ্গে এক ট্রাক অস্ত্রসহ গোলাবারুদ নিয়ে যায় সখিপুরের বড়চওনায়। পরে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বিভিন্ন জমিদার বাড়ি থেকে বন্দুক সংগ্রহ করা হয়। অগ্নিঝরা মার্চের দিনগুলো এখনো গৌরবের সাথে স্মরণ করে টাঙ্গাইলবাসী।
ভিডিও লিংক:
আরও পড়ুন