নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি
বুয়েট-ঢাবি’র তিন শিক্ষার্থী জেলে
প্রকাশিত : ২২:০৩, ৯ মার্চ ২০১৮
নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশ বিশ্ববিদ্যাল-বুয়েটর দুই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীসহ মোট ছয় ভুয়া পরীক্ষার্থীকে দেড় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো. সাঈদ তাদেরকে এ সাজা দেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অফিস সহায়কসহ পাঁচটি পদে ৬৬টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে মোট ৬ হাজার ৪৯৭ জন চাকরি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। ওই ছয় পরীক্ষার্থী জেলা প্রশাসনের সিল এবং নিজের ছবি সংবলিত নকল প্রবেশপত্র তৈরি করে পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু পরিদর্শকেরা মূল আবেদনপত্রের ছবির সাথে তাদের প্রবেশপত্রের ছবির অমিল দেখতে পায়। এরপর তাদের ‘প্রক্সি পরীক্ষার্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের হাজির করা হলে, আদালত প্রত্যেককে দেড় মাস করে কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- বরগুনা সদরের কলেজ ব্রাঞ্চ রোডের বাসিন্দা আব্দুল মোতালিবের ছেলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন হাসান (২৫), রংপুর বদরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা একরামুল হক সরকারের ছেলে বুয়েটের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়সাল সরকার (২৪), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র মো. আনোয়ার হোসেন (২৬), কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের চানপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় সরকারি গুরুদয়াল কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম (২৪), জেলার নিকলীর দৌলতপুর গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে মো. শরীফুল ইসলাম (২৪) ও হোসেনপুরের দক্ষিণ পানান গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল কাদির (২৬)।
জেলা প্রশাসক সূত্র জানায়, যেসব মূল পরীক্ষার্থী ‘প্রক্সি পরীক্ষার্থী’ নিয়োজিত করেছিলেন, তাদেরও শাস্তি দেওয়া হবে। তাদের ঠিকানা প্রশাসনের নথিতে রয়েছে।
আর/টিকে
আরও পড়ুন