নওগাঁ আলতাদিঘী পর্যটন কেন্দ্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৫৭, ২১ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৮:০৯, ২১ মার্চ ২০১৮
ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা নওগাঁর ধামইরহাটে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা শালবন ঘেরা আলতাদিঘী এখন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিন নানা বয়সের ভ্রমণপিপাসুরা যান নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
তবে জাতীয় উদ্যান ঘোষণার ৭ বছর পরও পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে গড়ে ওঠেনি অবকাঠামো। যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ অনুন্নত।
আনুমানিক ১৪শ’ খ্রিষ্টাব্দে ধামইরহাট অঞ্চলে রাজা বিশ্বনাথ জগদ্দল রাজত্ব করতেন। সে সময় এ অঞ্চলের মানুষের পানির অভাব মেটাতে রাণীর ইচ্ছায় ৪২ দশমিক ৮১ একর আয়তনের আলতাদিঘী’ খনন করা হয়। সীমান্ত ঘেঁষা এই দিঘীকে ঘিরে রয়েছে ২শ’ ৬৪ দশমিক ১২ হেক্টর শালবন।
আলতাদিঘী ও শালবনে রয়েছে নানা জাতের প্রাণী। শালবনের ভেতর বিশাল দিঘীতে বন বিভাগের লাগানো পদ্মফুল বাড়িয়ে তুলেছে সৌন্দর্য। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে যান।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে আলতাদিঘীকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করে। কিন্তু সাত বছর পরও বিশ্রামাগার, পিকনিক স্পট নির্মাণ ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন না হওয়ায় হতাশ পর্যটকরা। তাছাড়া, ২০১৪ সালে পার্ক অফিস ও স্টাফ ডরমিটরি নির্মাণ করা হলেও আজো তা চালু হয়নি।
তবে আশার বাণী শোনালেন জেলা প্রশাসক। আলতাদিঘী নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নেয়ার কথা জানান তিনি।
পর্যটন শিল্পের বিকাশে শিগগিরই অবকাঠামো নির্মাণসহ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন