আজ ঠাকুরগাঁও যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৮:১০, ২৯ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ০৯:২৮, ২৯ মার্চ ২০১৮
দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের উত্তরের এ জেলায় তাঁর শুভাগমনে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। প্রত্যাশার সঙ্গে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। জনসভা সফল করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগসহ সব অংগ সংগঠনের ব্যপক প্রস্তুতি দেখা গেছে।
জেলায় পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুতি কাজের তদারকি করছে।
২৯ মার্চ বিকেল ৩টায় সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহর জুড়ে রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার সভাস্থলের পরিচ্ছন্নতাসহ সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য রং লাগানো থেকে শুরু করে সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অংগ সংগঠনগুলো সভামঞ্চ এবং রাস্তাঘাটের সৌন্দর্য বর্ধনসহ সভাস্থল জন সমুদ্রে পরিণত করার জন্য মাইকিং, পোস্টার, বেনার, ফেস্টুন, তোরণ নির্মাণ, হাট সভা, পথ সভা, বর্ধিত সভা, প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছে দফায় দফায়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা. সাদেক কুরাইশী বলেন, এবারের জনসভায় ৫ লাখেরও বেশি লোকের সমাগম ঘটানো হবে। ঠাকুরগাঁওবাসী এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তর/বিভাগের উদ্বোধনযোগ্য ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনযোগ্য একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এবারের সফরে সদর, হরিপুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার নবনির্মিত উপজেলা কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত ভবন, পিটিআইয়ের সম্প্রসারিত ভবন, আবুল হোসেন সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবনসহ ১০টি কলেজের চার তলা ভবন, রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ভবন, আধুনিক সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করণ প্রকল্পসহ ৩৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, জেলার বেশ কয়েকটি রেজিস্ট্রি অফিস ও ভবন উদ্বোধন করবেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে ঠাকুরগাঁও গিয়েছিলেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
এসএ/
আরও পড়ুন